রাঙামাটিতে বনভান্তের পরিনির্বাণ বার্ষিকী পালিত
প্রকাশঃ ৩০ জানুয়ারী, ২০২০ ১০:৪০:০৩
| আপডেটঃ ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:১৮:৩১
|
৯৬১
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বৌদ্ধধর্মীয় মহাসাধাক শ্রাবক বুদ্ধ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের অষ্টম পরিনির্বাণবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার শহরের রাঙামাটি রাজবন বিহার, সদরের বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শাখা বন বিহারে দিনব্যাপী ধর্মীয় কর্মসূচি উদযাপিত হয়েছে। পালিত হয়েছে ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান।
বৌদ্ধধর্মীয় এ মহাগুরুর জন্ম ১৯২০ সালের ৮ জানুয়ারি রাঙামাটি সদরের ১১৫ নম্বর মগবান মৌজার মোড়ঘোনা নামক গ্রামের এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে। তিনি মহামতি গৌতম বুদ্ধের পথ অনুসরণ করে ১৯৪৯ সালে গৃহত্যাগ করেছিলেন। যার পথ ধরে মহাপরিনির্বাণ লাভের মধ্য দিয়ে দেহত্যাগ করেন, ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি। জীবদ্দশায় আমরণ ছিলেন, রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ।
বনভান্তের পরিনির্বাণবার্ষিকী উপলক্ষে সদরের যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রে সকালে বনভান্তের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন পুণ্যার্থীরা। এতে সমাগম হয় হাজারও পুণ্যার্থীর। এরপর উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সূচিত হয়। সকালে প্রথম পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিন্ডদান, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, হাজারবাতি দান, পঞ্চশীল গ্রহণ ও সদ্ধর্ম দেশনা। বিকালে হাজারবাতি প্রজ্জ্বলন ও সন্ধ্যায় ফানুস উত্তোলণ করা হয়েছে।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মৈত্রীময় বক্তব্য রাখেন, যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সভাপতি পূর্ণচক্র চাকমা, সাংবাদিক বিহারী চাকমা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন, কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপক চাকমা।
পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে সদ্ধর্ম দেশনা দেন শ্রীমৎ প্রিয়নন্দ মহাস্থবির, দীঘিনালা বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ শুভবর্ধন মহাস্থবির, সাধনাটিলা বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুদ্ধবংশ মহাস্থবির, জলচুগ বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সত্যমতি ভিক্ষু ও ধুতাঙ্গটিলা বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ দেবধাম্মা ভিক্ষু প্রমুখ।
দেশনাকালে বৌদ্ধধর্মীয় গুরুরা বলেন, পূজ্য বনভান্তে বৌদ্ধ জাতিকে সদ্ধর্মের পথে এগিয়ে এনে দুঃখমুক্তির উপায় দেখিয়েছেন। বৌদ্ধ জাতির জন্য তার অবদান বিশাল। তিনি বৌদ্ধ জাতির পিতার ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি মহামতি গৌতম বুদ্ধের নীতি-আদর্শ অনুসরণ করে নির্বাণ লাভ করেছিলেন। তাই বনভান্তের ধর্মীয় শাসনকালে জন্মগ্রহণ করা বৌদ্ধ সম্প্রদায় নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান।