সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন কাউখালীতে শান্তিপুর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেতবুনিয়া ইউনিয়নে অংক্যজ চৌধুরী ও কলমপতি ইউনিয়নে ক্যজাই মারমা ইতিমধ্যে বিনাভোটে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হিসেবে জয়লাভ করেছে। এদুটি ইউনিয়নে শুধুমাত্র সাধারন সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। এছাড়া আজ অনুষ্ঠিত অপর দুটি ইউনিয়নের মধ্যে ঘাগড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ নাজিম উদ্দিন এবং ফটিকছড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রাথী আনারস প্রতীকের উষাতন চাকমা বেসরকারীভাবে নিবাচিত হয়েছেন।
আজ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোন কেন্দ্রে গোলযোগের সংবাদ পাওয়া না গেলেও দুগম ফটিকছড়ি ইউনিয়নের বামাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার পুলক চাকমার সহায়তায় স্বতন্ত্র প্রাথী উষাতন চাকমার পক্ষে ব্যালট পেপারে প্রকাশ্য সিল মারার অভিযোগ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রাথী লাথোয়াই মারমা। তিনি সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান স্বতন্ত্র প্রাথী উষাতন চাকমার পক্ষে তাদের কমীরা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ইউপি সদস্য ও নারী সদস্যদের ব্যালট পেপার ভোটারকে দিয়ে চেয়ারম্যানের ব্যালট পেপারটি নিজেরা নিয়ে প্রকাশ্য সীল মেরে বাক্স ভর্তি করেছে। সীলমারা এসব ব্যালট পেপার গুছিয়ে দেয়া এবং বিতরন করার কাজে সহায়তা করছেন পুরান পোয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার পুলক চাকমা।
লাথোয়াই মারমা আরো জানিয়েছেন প্রকাশ্য চেয়ারম্যান প্রাথীর ব্যালটে সীল মারার কাজে কেন সহায়তা করছে জানতে চাইলে ঐ শিক্ষক তাকে জানিয়েছেন চাপে থাকার কারনে তিনি এসব কাজ করেছেন। পরে ঐ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার করুনাময় চাকমা এসে তার কাছে বিষয়টি নিয়ে যেন কাউকে না জানানো হয় এজন্য ক্ষমা চান। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
কাউখালী উপজেলার চারটি ইউপি নিবাচন সকাল আটটা থেকে ৩৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩২টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়,ছিদ্দিকই আকবর মাদ্রাসাসহ কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ।
আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবিবি, আনসার, ভিডিপি নিয়োজিত ছিল। এছাড়া সেনাবাহিনী ও র্যাব বিভিন্ন এলাকায় টহলে ছিল। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৩২টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩২জন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ১০২জন, পোলিং অফিসার মোট ২০৪ জন দায়িত্ব পালন করেছে।