শুক্রবার | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও দীঘিনালা মেরুং লংগদু সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

রামগড় ও দীঘিনালায় বন্যার অবনতি, আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে প্রশাসন

প্রকাশঃ ১৩ জুন, ২০১৮ ০৮:৫৮:১৭ | আপডেটঃ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:০১:১৪  |  ৭০৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি  হলেও  জেলার রামগড় ও দীঘিনালার পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটেছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৫ সহ্রাধিক পরিবার পানি বন্ধি এবং বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে  ৩ সহ¯্রাধিক  পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। খর¯্রােতা ফেনী ও মাইনী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়ক ও দীঘিনালা মেরুং রাঙ্গামাটির লংগদু সড়কে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। খাগড়াছড়ি-রামগড় -ঢাকা সড়কে বাস ট্রাক চলাচল শুরু করলেও ছোটগাড়ী চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্মরণকালের ভয়াবহ এ পাহাড়ী ঢলে  খাগড়াছড়ি শহরের দুই তৃতীয়াংশ,রামগড়,মহালছড়ির বিস্তৃত অঞ্চল ও দীঘিনালার মেরুং বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে কয়েক শত পুকুরের মাছ। আকস্মিক বন্যায় ব্যবসায়ীদের গোড়াউন ডুবে যাওয়ায় চালসহ বিভিন্ন মালামাল নষ্ঠ হয়ে গেছে।
দুপুরে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মো:রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানানো হয় যে, দুর্গতদের জন্য জেলায় ৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। দুবেলা খাবারসহ আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২ মে:টন খাদ্যশষ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে  আটকাপড়া লোকজনকে উদ্ধার করে রেডক্রিসেন্ট ও যুবরেডক্রিসেন্ট’র সদস্যরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। দীঘিনালায়  উদ্ধারকাজ করতে গিয়ে ইঞ্জিন চালিত  নৌকা ডুবে নিখোজ দুই উদ্ধারকর্মী অনুপম চাকমা ও সিকা চাকমাকে খুজে পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি আরও অবনতি আশংকায় ঝুঁকিপূণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং করেছে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রামগড়ের নাকাপা এলাকায় রাস্তার উপর পাহাড় ধ্বসে পড়া মাটি অপসারণ করেছে সড়ক বিভাগ। এছাড়া জেলার আলুটিলা, সবুজ বাগ, শালবন, কুমিল্লাটিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। এতে প্রাণহানি না হলেও ঘরবাড়ীর ক্ষতি হয়েছে।  
বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ির গোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোনের পক্ষথেকে দুর্গত মানুষের ডিম খিচুড়ী  বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে জানানো হয়েছে, পৌর এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পৌরসভার মাধ্যমে এবং অন্যান্য আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানীয় প্রশানের মাধ্যমে দু বেলা খাবার অন্যান্য সহায়তা দেয়া হবে।

শরনার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম জানান,পৌর শহরে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে মঙ্গলবার রাতে ৩ হাজার মানুষকে শুকনা খাবার এবং ৩ হাজার মানুষকে খিচুড়ী দেয়া হয়েছে।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions