মঙ্গলবার | ০৭ মে, ২০২৪

যারা খাস জমি দখল ও বিক্রির মাধ্যমে গরীব মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : জেলা প্রশাসক

প্রকাশঃ ২৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০৭:৪৯:১০ | আপডেটঃ ০৬ মে, ২০২৪ ১০:১৭:৩০  |  ২০২৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধব্বস ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে  রাঙামাটিতে পাহাড় ধব্বস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করণীয় নির্ধারনে জেলা প্রশাসনের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি সদর জোন অধিনায়ক লে: কর্নেল রফিকুল ইসলাম পিএসসি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমসহ সরকারি বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগন।
প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেছেন, ২০১৭ সনে পাহাড় ধব্বসে মানুষ মারা যাওয়ার পরও অনেকে আবার ঝুকিপুর্ণ এলাকায় গিয়ে বসবাস করছে, অতি বর্ষনে কেউ যেন ঝুকিপুর্ন এলাকায় বসবাস না করেন এবং নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যান এবিষয়ে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সচেতন করে তোলার জন্য ভুমিকা পালন করতে হবে। আমরা আর কোন ধরনের প্রানহানি চাই না, আমাদেরকে আরো বেশী সচেতন হতে হবে।
প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক জানান, রাঙামাটি শহরের ঝুকিপুর্ন এলাকার তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে, কিন্তু জায়গা না থাকায় কাউকে সরিয়ে অন্যত্র নেয়া সম্ভব হচ্ছে না, তবে দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক বলেন, গত বছর রাঙামাটি শহরে বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার সম্ভব হয়েছে।  তারপরও জেলার নানিয়ারচরে পাহাড় ধসে ১১ জন নিহত হয়েছেন। গত বছরের মতো এবারও আগাম প্রসতুতি নেয়া হচ্ছে। সবার সচেতনতা থাকতে হবে। গণসচেতনতার জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটি গঠন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, রেডক্রস, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনজিওসহ সবস্তরের লোকজন নিয়ে দুর্যোগ প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকতে আহবান জানান জেলা প্রশাসক।

তিনি সবাইকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, যারা পাহাড়ের খাস জমি দখল, পাহাড় বিক্রি করে এবং জমি নিয়ে দালালি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিছু প্রভাবশালীমহল সরকারি খাস জায়গা দখল বিক্রি করে নিরীহ ও গরীব সাধারন মানুষ এগুলো কিনে পাহাড়ের পাদদেশে ঘরবাড়ী করে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় বিগত দিনে এনজিওগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামনে যেন স্থানীয় এনজিওগুলো সব ধরনের দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকে, সেই আহবান জানান জেলা প্রশাসক। তিনি সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস, এলজিইডি, বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক ও জনপথসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।

প্রস্তুতি সভায় রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল রফিকুল ইসলাম বলেছেন, কেবল পার্বত্য এলাকায় নিরাপত্তা বিধান নয়, সামাজিক কার্যক্রমেও সেনাবাহিনী ভুমিকা রাখছে। রাঙামাটিতে দুযোর্গ মোকাবেলায় এবার সেনাবাহিনী প্রস্তুতি গ্রহণ করছে, রাঙামাটি সদর জোনের ৪০জন সেনা সদস্যকে সার্বক্ষনিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এসব সদস্যদের ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দুর্যোগকালীন সময়ে উদ্ধার তৎপরতা বিষয়ে প্রশিক্ষন দেয়া হবে। তবে সব কিছুর আগে আমাদের ভারি বর্ষণের সময় ও বজ্রপাতের সময় নিরাপদে থাকতে হবে।  

এদিকে দুযোর্গ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংস্থা তাদের দুযোর্গ পুর্ব মুহুর্তের প্রস্তুতির কথা তোলে ধরেন।  
প্রস্তুতি সভার পর জেলা প্রশাসক পাহাড় ধব্বস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে সচেতনতা মুলক লিফলেট বিতরণ করেন।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions