রাঙামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রকাশঃ ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০৮:৪২:৪৬
| আপডেটঃ ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:১৩:২০
|
১২৫৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে দফায় দফায় এক কলেজছাত্রীর দেহভোগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক লম্পটের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক ও লম্পট ইমরান খাঁন মুন্নার কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন, ভূক্তভোগী কলেজছাত্রী। ধর্ষকের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তির দাবিতে ১ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঘটনার শিকার নারী।
তিনি বুধবার সকালে শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন রাঙামাটি রিপোটার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত আকারে বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলে ধরেছেন। এ সময় তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে ওইসব দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এলাকার সচেতন নাগরিক ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রী বলেন, রাঙামাটি শহরের কলেজগেট এলাকার বাসিন্দা মো. আলী খাঁনের ছেলে ওই ইমরান খাঁন মুন্না একজন ধর্ষণকারী ও নারীলোভী লম্পট। বর্তমানে সে খুলনার খালিশপুরে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কর্মরত আছে। আমি খুব গরিব ঘরের সন্তান। নারীলোভী ওই লম্পট মুন্না ২০১৭ সালের ৫ মে আমাকে বিয়ের প্রলোভনসহ নানা লোভ-লালসা দেখিয়ে চট্টগ্রামে বায়েজিদ মাজারে নিয়ে যায়। মাজারটি সাক্ষী রেখে আমাকে বিয়ে করে। অথচ তখন আমার ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে চাকরি হয় তার। চাকরি হওয়ার পর আরও কিছু দিন পর আমাকে ঘরে তুলবে কথা বলে প্রতারণা করে আসছিল। কিন্তু আজও তা না করে মিথ্যা ছলচাতুরি চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় আমার সঙ্গে দৈহিক মিলন করে আমার সর্বনাশ করেছে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জানতে পারি, তার পরিবার তাকে অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে চাইছে। বিষয়টি তার কাছে জানতে চাইলে তা সঠিক নয় বলে জবাব দেয় সে। কিন্তু পরে আমাকেও অস্বীকার করে ফেলে ওই লম্পট।
ঘটনার শিকার ওই ছাত্রী আরো বলেন, আমি বর্তমানে মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে। ঘরে সৎ মা। বাবা মিথ্যা মামলায় জেল-হাজতে। অপরদিকে বিবাদী ইমরান ও তার পরিবার আমার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আমাকেসহ আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ১১-১২টি মিথ্যা মামলার অভিযোগ দিয়েছে। আমাকে যৌন হয়রানির পাশাপাশি নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। আমি এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। এ জন্য স্থানীয়ভাবে অনেকের কাছে গিয়েছি। কিন্তু কোনো ফল পাইনি। ১ ফেব্রুায়রি রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিন্তু তা আমলে নেয়া হবে কি না জানি না। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিষয়টি ২-৩ দিনের মধ্যে আমলে নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। আমি নারীলোভী ইমরান খাঁন মুন্নাসহ তার সঙ্গে অপকর্মে জড়িত সবার সুষ্ঠু বিচার চাই। মুন্নাসহ অভিযুক্ত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় গ্রেফতার পূর্বক আসামির ফাঁসি দাবি করেন।