মঙ্গলবার | ১৯ মার্চ, ২০২৪

মারামারি-খুনাখুনি ধর্মের অংশ নয়- দীপংকর তালুকদার এমপি

প্রকাশঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ০৫:০৯:৩০ | আপডেটঃ ১৬ মার্চ, ২০২৪ ০৮:২৬:৫৭  |  ১০৭৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়িত মারা-মারি খুনা-খুনিতে লিপ্ত থাকে। নিজেরা নিজেরা রক্তপাত করে। অস্ত্রবাজী, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজীর পথ বেচে নিতে পারি না। কারণ ধর্ম- হত্যা, নির্যাতন বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সমর্থন করে না। মারামারি-খুনাখুনি ধর্মের অংশ নয়। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। তিনি সকলকে মারা-মারি, খুনা-খুনি ও রক্তপাত থেকে বের হয়ে ধর্মের পথে মৈত্রী ভাবনা করেই পথ চলার  আসার আহব্বান জানান।  
 
আজ শক্রবার (২৭ নভেম্বর ২০) সকাল ১০টায় রাঙামাটি বিলাইছড়ি উপজেলার কেদ্রীয় দিঘলছড়ি বৌদ্ধ বিহারে আয়োজিত ৪৭তম কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাও একজন ধর্মপরায়ন মানুষ এবং তিনি সব ধর্মের ব্যাপারেই অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি চান প্রত্যেক ধর্মের লোকেরা যাতে নির্বিঘেœ তাদের ধর্ম পালন করতে পারে। তাই তিনি জনগণের নিরাপত্তাসহ সকল ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছেন।

অনুষ্ঠানে বিলাইছড়ি উপজেলার কেদ্রীয় দিঘলছড়ি বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ ভদন্ত আর্য্য লংকার থের এর এর সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। বিশেষ অথিতি হিসেবে বিলাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সেনা জোন কমান্ডার আখের মোহাম্মদ জয়, , রাঙামাটি জেলা পরিষদের  সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, বিলাইছড়ি থানার ওসি পারভেজ আলী, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি  অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ঊষামং মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠোনে প্রধান ধর্ম্মালোচক হিসেবে বিলাইছড়ি বাঙ্গালকাটা বহুমুখী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত তেজবর্ণ ভিক্ষু,  বিশেষ ধর্ম্মালোচক হিসেবে উপজলোর বাজার সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত দেবতিষ্য ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার সকালে পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্যদিয়ে চীবর দান অনুষ্ঠান শুরু হয়। সংঘ দান, বুদ্ধমুর্তি দান, কল্পতরু দান, অষ্ট পরিষ্কার দান এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডু দান সহ নানাবিধ দান করা হয়।
 
ধর্মীয় দেশনায় বক্তারা বলেন, পূণ্য লাভে বনভান্তের শাসন অনুশাসন ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে চলতে চলতে হবে। এসময় বনবিহারে পূণ্য লাভের আশায় আগত বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা সাধু সাধু ধব্বনি দেন।  শেষে বর্তমান দেশ ও জাতি করোনা প্রভাব থেকে যেন মুক্ত হতে পারে সেই প্রার্থনা করা হয়।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বিলাইছড়ি উপজেলার কেন্দ্রীয় দিঘলছড়ি বৌদ্ধ বিহারের নব-নির্মিত ভবন ফিলা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন।


রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions