শুক্রবার | ১০ মে, ২০২৪
সর্দি-কাঁশি ও ব্যথানাশক ওষুধ নিয়ে কৃত্রিম সংকট

রাঙামাটিতে করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান

প্রকাশঃ ২৩ মার্চ, ২০২০ ১১:১৩:২৩ | আপডেটঃ ০৯ মে, ২০২৪ ১০:০৯:২১  |  ৯৬৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এ বিষয়ে প্রশাসনিক সমন্বয় দায়িত্বে রয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গত তিন মাসে যেসব প্রবাসী নিজ বাড়িঘরে ফিরেছেন, তাদের সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পর্যবেক্ষণে আনা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে আসা ২৬৭ প্রবাসীর মধ্যে ১১৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন। জেলায় এখনও কোনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। ১০ জনের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। অন্য প্রবাসীদের খোঁজা হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জায়গায় জায়গায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।

সোমবার বিকাল ৫টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক জরুরি মতবিনিময়ে এসব তথ্য জানান, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।

এদিকে সদরসহ জেলার ফার্মেসিগুলো থেকে সর্দি-কাশি জ্বর ও ব্যথানাশক ওষুধ উধাও হয়ে গেছে। এ নিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে ওইসব ওষুধের কৃত্রিম সংকট। সভায় এ প্রসঙ্গে কয়েক সংবাদকর্মী জেলা প্রশাসককে অবহিত করে জানান, করোনা চিকিৎসার জন্য সর্দি-কাঁশি জ্বর এবং ব্যথানাশক সব ওষুধ ফার্মেসি দোকান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা। এখন শহরসহ জেলায় এসব ওষুধ কোনো ফার্মেসিতে মিলছে না। ফলে আক্রান্ত রোগীরা চরম বিপাকে।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজারে কোনো রকম জিনিষের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা যাবে না। আমরা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনে আনার পাশপাশি বাজারে যে কোনো কৃত্রিম সংকট তৈরির বিরুদ্ধে তীব্র নজর দিচ্ছি। কেউ এসবে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিন না মানলে তাকে আর্থিক দন্ড দেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা চাই রাঙামাটিতে যাতে কোনোভাবেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ না হয়। এ লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সম্মিলিত চেষ্টায় জেলায় করোনাভাইরাস ঠেকাতে হবে। এ জন্য সবাইকে সচেতন আর অধিক দায়িত্বশীল হতে হবে।

জেলার সীমান্তপথে সব ধরনের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রবাসী ও বাইরের লোক প্রবেশে প্রত্যেক চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার রাখা হয়েছে। আপাতত: সবাইকে কোথাও ঘোরাফেরা না করে যার যার অবস্থানে থাকতে বলে দেয়া হচ্ছে। প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পাশপাশি করোনা রোগী শনাক্ত  ও চিকিৎসার জন্য আইসোলেশনসহ যাবতীয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আমরা জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও অন্যান্য সংস্থা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।    

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions