সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির সাবেক জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল বলেছেন, রাঙামাটিসহ পার্বত্য এলাকায় ঝড়ে যাওয়া রোধে রাঙামাটি পাবলিক কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় পাস করার পর অনেক শিক্ষার্থী ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারে না, আবার সরকারি কলেজে আসন সংখ্যা সীমিত থাকে, আবার কখনো দেখা যায় শিক্ষার্থীরা কম নম্বরের জন্য ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারে না। এসব শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে রাঙামাটি শহরে পাবলিক কলেজে স্থাপন করা হয়। এই পাবলিক কলেজ কারো ব্যাক্তিগত সম্পত্তি না, এটা এখানকার জনগনের তাই এই কলেজকে সবাইকে রক্ষা করতে হবে।
রাঙামাটি পাবলিক কলেজের প্রথম পুর্নমিলনী ২০১৯ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী পরিষদের যুগ্ম সচিব ও সাবেক রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ শামসুল আরেফিন, রাঙামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবীর।
অনুষ্ঠানে ঠিকাদারের উপস্থিতি সাবেক জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল ঠিকাদারকে অনুরোধ করে বলেন, আদালতে গিয়ে মামলাটি তুলে নিন, আপনার য সমস্যা এটা ছোট সমস্যা, মাননীয় এমপি মহোদয় বিষয়টি সমাধান করে দিতে পারবেন। এসময় ঠিকাদারকে কলেজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে অনুরোধ জানান। কলেজের সমস্যাটি ছোট একটি ব্যাপার, এটি কোন বড় সমস্যা নয়। পাবলিক কলেজের একটিই মূল সমস্যা কলেজের স্থায়ী ভবন দরকার। ভবন হয়ে গেলে কম্পিউটার ল্যাব সব হবে এবং কলেজ থেকে সম্ভাবনাময় মেধাবী তরুন ছাত্র-ছাত্রীরা উঠে আসবে।
মোস্তফা কামাল আরো বলেন, আমরা রাঙামাটি পাবলিক কলেজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। এই কলেজের জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি কলেজ বাস দিয়েছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই, তবে হতাশ হওয়ার কারন নাই। রাঙামাটি পাবলিক কলেজের ভবন হবে তা সবাই নিশ্চিত থাকেন। সকলে চাইলে সব কিছুই সম্ভব।
মোস্তফা কামাল ছাত্রছাত্রীদের মন দিয়ে পড়া লেখা করে প্রত্যেকের বাবা, মা’র মুখে হাসি ফুটাতে অনুরোধ জানান।