বৃহস্পতিবার | ১৬ মে, ২০২৪
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নেয়া যাবে না

আচরণবিধি না মানলে ব্যবস্থা, এবার কেউ কেন্দ্র দখল করতে পারবে না: জেলা প্রশাসক

প্রকাশঃ ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০২:৫৯:৩১ | আপডেটঃ ১১ মে, ২০২৪ ০৪:৩১:০০  |  ১২৯৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা একে এম মামুনুর রশীদ বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় রাঙামাটির নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে, প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। ২/১ টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে আমরা এটি প্রত্যাশা করিনি, নির্বাচনী আচরণবিধি না মানলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব, কে কোন দলের প্রার্থী বা সমর্থক আমরা সেটি বিবেচনা করব না। আগামীকাল থেকে মাঠে আগে চেয়ে বেশী আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।

আজ বুধবার বিকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে “ নির্বাচনে প্রতদ্বন্দ্বি প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট ও মনিটারিং টিমের সদস্য গণের সাথে নির্বাচনী আচরণবিধি ও আইন শৃখলা বিষয়ক” মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা শুনেছি গতবার ২০১৪ সনে কেন্দ্র দখল করে ও অস্ত্রের ভয় দেখানো হয়েছিল, এবার সেটি ভুলে যান ভোটের দিন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী থাকবে, আমরা যে কোন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করব।

সভায় পুলিশ সুপার আলম কবির, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নজরুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ, আনসার ও ভিডিপির জেলা কর্মকর্তা আবদুল আওয়াল, এনএসআই’র সহকারি পরিচালক সানোয়ার হোসেন। প্রার্থীদের পক্ষে তাদের প্রতিনিধি  জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর, জেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহ আলম, সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, জনসংহতি সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক নীলৎপল খীসা, জাতীয় পার্টির মনিটারিং সেলের সদস্য ডা: শিব প্রসাদ মিশ্র ও ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহ আলম অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা বাঘাইছড়ি, লংগদু ও রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীতে বিএনপির নেতা কর্মীদের হামলা করেছে, বিএনপির পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছে। আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা বিএনপির উপর হামলার  ঘটনায় বিএনপি মামলা করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি, উল্টো বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, আওয়ামীলীগের ৩টি মামলায় ৪৫০জনকে আসামী করা হয়েছে, মূলত নির্বাচনের সময় এলাকা ছাড়া করতে এই মামলা, এর মধ্যে ৪/৫জনকে পুলিশ আটক করেছে।

বিএনপির অভিয়োগের প্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, আমাদের পোষ্টারও ছিড়ে ফেলা হয়েছে আমরা আগামীতে সুন্দর পরিবেশের জন্য কাজ করব।



জনসংহতি সমিতির জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক ও সিংহ এর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য নীলৎপল খীসা বলেছেন, নির্বাচনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, রাজস্থলীতে সিংহ এর নির্বাচনী প্রচারণা বাঁধা সৃষ্টি করা হয়। প্রতি উত্তরে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর বলেন, রাজস্থলীতে আমি ছিলাম সেখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, উল্টো বাঘাইছড়ির উলুছড়িতে অবৈধ অস্ত্রধারীরা আমাকে হুমকি দিয়েছিল, প্রাণের ভয়ে আমি ওই এলাকায় প্রচারণা বন্ধ করে চলে আসি।




সভায় পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর বলেন, ‘ যা হয়েছে এর মধ্যে স্টপ থাকুন, সামনে যেনো এমন আর না হয়। রাঙামাটির অতীতের নির্বাচন আমরা দেখিনি কিন্তু শুনেছি। তবে এবার অতীতের নির্বাচনের কথা ভুলে যান। যার ভোট সে দিবে অন্য কেউ যেনো না দেয়। তাহলে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করব।

এদিকে জেলা প্রশাসক জানান, নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে কেবল প্রিজাইডিং অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, ভোটার, প্রার্থী বা অন্য কেউই ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের বাইরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।   

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions