রাঙামাটিতে পৌর আওয়ামীলীগ ৮নং ওয়ার্ড শাখার মত বিনিময় সভায়
পাহাড়ে যৌথবাহিনীর চিরুনী অভিযান নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত রাখার দাবি মুছার
প্রকাশঃ ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ১২:২৪:৫৪
| আপডেটঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:২৮:০৪
|
১৪১৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর বলেছেন, গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসএস অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভোট ডাকাতি করে আমাদের নেতা দীপংকর তালুকদারকে নির্বাচনে পরাজিত করেছে। সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রধারীরা আমাদের বিজয় কেড়ে নেয়। এর পর থেকে রাঙামাটির সাধারণ মানুষ অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরতে প্রশাসন যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে চিরুনী অভিযান শুরু করেছে। তিনি যৌথ বাহিনীকে ধন্যবাদ জ্ঞানপন করে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষে চলমান অবৈধ অস্ত্রধারীদের চিরুনী অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
রাঙামাটিতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি ২৯৯ নং আসনে দলীয়ভাবে মনোনীত দীপংকর তালুকদারের বিজয় সুনিশ্চিত করার লক্ষে আজ শুক্রবার বিকালে হ্যাপিড়মোড় সংলগ্ন চম্পক নগর এলাকায় রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগ, ৮নং ওয়ার্ড শাখা কর্তৃক আয়োজিত সভায় প্রধান অথিতির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ইসহাক সওদাগরের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, সভায় পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী সোলায়মান চৌধুরী, যুবলীগ নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব, এডভোকেট মিহির বরণ চাকমা, পিপি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহ এমরান রোকন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমাসহ অন্যন্যা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় অন্যন্যা বক্তারা বলেন, জেএসএস ও তাদের নেতা সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার জনগণের কোটি কোটি টাকা লুট-পাট করেছে। ঊষাতন তালুকদার (এমপি) জনগণের কোন উন্নয়ন কাজের অংশীদার হননি। বরাদ্দকৃত টাকা জনগণের উন্নয়ন না করে নিজেদের পকেট ভারি করেছে। এছাড়া ঊষাতন তালুকদারের দল জেএসএস জনগণের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে। অবৈধ অস্ত্রের কাছে চাঁদাবাজির টাকা ব্যয় করেছে।
বক্তারা আরো বলেন, সভায় বক্তারা বলেন, গত নির্বাচনে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ৫৩টি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করেছে। তাই সকলকে চোখ কান খোলা রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এবার ভোট কাটচুপির সুযোগ দেওয়া হবে না এবং ভোট ডাকাতি কিংবা চেষ্টা করলে কেন্দ্রেই প্রতিহত করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
তারা আরো বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীরা যদি এবার কোন রকম ভোট ডাকাতির চেষ্টা করে তাহলে কেন্দ্রেই তাদের প্রতিহত করা হবে। এবার কোন রকম ভোট ডাকাতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না। আসন পেতে হলে জনগণের ভালবাসার মাধ্যমে পেতে হবে।