শুক্রবার | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
আশ্রয় নিয়েছে মারমা ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে ৫২পরিবার

প্রকাশঃ ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩ ০২:৫২:৫৯ | আপডেটঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৭:৪০:২৪  |  ৪৮৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানের মুখে আতঙ্কে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মারমা সম্প্রদায়ের ৫২টি পরিবারের ১৪৬জন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গ্রাম ছেড়ে রুমা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনে অবস্থান করছে। আশেপাশের আরো বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে আছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পাইন্দু ইউনিয়নের হ্যাপিহিলপাড়া, বাসত্লাং পাড়া, আর্থাপাড়া, মুননুয়াম পাড়া ও মুয়ালপি পাড়ার বাসিন্দার কয়েকদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর পাহাড়ের অভিযানের কারণে এবং সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এর আংতকের কারণে পাড়া ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।

রুমা উপজেলা পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান উহ্লামং বলেন, বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ গ্রামের জনসাধারণ রুমা সদরের মারমা ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে। তাদের খাবার, কম্বল ও থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা রুমা সদরে অবস্থান করবেন।

মারমা ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক সুইপ্রুচিং মার্মা বলেন, আশ্রিতদের সব ধরণের সহযোগীতা করছে সবাই, উপজেলা প্রশাসন ত্রান বরাদ্ধ দিয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা এখানে থাকবে বলে আশাকরি।

রুমা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনে অবস্থান করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পাড়াবাসী জানান, হঠাৎ করে পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তার করতে উঠে পড়ে লেগেছে কেএনএফ, আর তাদের ধরতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের সদস্যরা প্রায় পাহাড়ে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছে। বিভিন্ন সময় পাহাড়ে গোলাগুলি হচ্ছে আর নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আমরা সদরে চলে আসলাম।

বান্দরবানের রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মামুন শিবলী বলেন, আশ্রয় নেয়া লোকজনের খবর নেয়া হয়েছে, তাদের সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে ।

এদিকে শনিবার (২৮ জানুয়ারী)  বিকেলে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর সাথে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এর এক বন্দুকযুদ্ধ হয়, এসময় বন্দুক যুদ্ধে প্রথমবারের মতো কেএনএফ এর এক সদস্যের লাশ পাওয়া যায়। পরে রবিবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুরে মুননুয়াম পাড়া থেকে পুলিশের একটি টিম গিয়ে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত কেএনএফ সদস্য  বান্দরবানের সুয়ালক ৬নং ওয়ার্ড এর শ্যারণ পাড়ার বাসিন্দা বেনেট  থাং ম্রো এর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এদিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর একজনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবানের মর্গে প্রেরণ এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:আলমগীর হোসেন ।

প্রসঙ্গত : বান্দরবানের পাহাড়ে নতুন সৃষ্টি হওয়া সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সৃষ্টির পর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেড়ে যায় ,আর তাদের নির্মূলে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী।


বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions