শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

পাহাড়ে চাঁদাবাজি ও চোরাচালানির বিষয়ে নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন ডেপুটি গভর্ণর

প্রকাশঃ ০৪ অগাস্ট, ২০১৮ ০৫:৪৬:৩৭ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:৩২:২৫  |  ৮২৯
শাহ আলম, সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ের চাঁদাবাজি ও চোরা-চালানির অর্থ সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করছে কিনা সে বিষয়ে স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান।
তিন পার্বত্য জেলার ব্যাংকারদের নিয়ে রাঙামাটিতে ‘অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন প্রতিরোধ’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাইনি হলরুমে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের আয়োজনে লিডিং ব্যাংকের দায়িত্ব পালন করে ইসলামী ব্যাংক।  কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন দেশের অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি স্বরূপ। একটি দায়িত্বশীল ব্যাংক হিসেবে এ ধরনের বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধে প্রত্যেক ব্যাংকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শসহ সকল কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা সমূহ যথাযথ পরিপালনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ না করলে তা দেশ ও জাতির বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তিনি প্রত্যেকটি শাখা ব্যাংকগুলোর সন্দেহজনক লেনদেনের রির্পোট তৈরী করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এই রির্পোটগুলোর উপর যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নিবে সংশিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তারা অপরাধীদের আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসবে।
কি করতে হবে? কার কি দায়িত্ব সেই বিষয়গুলো ও বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং অর্থায়নে সন্ত্রাস প্রতিরোধে মানি লন্ডারিং আইনুযায়ী ব্যাংকারদের কার কি কি দায়িত্ব, কি কি করনীয় সে বিষয়ে বিভিন্ন আলোকপাতসহ রাঙামাটির স্থানীয় বিভিন্ন ব্যাংকের ৫৭ জন কর্মকর্তাকে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি কোর্সে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান সঠিকভাবে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের উপদেশ প্রদান করেন।
মাদক একটি সমাজের সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, মাদকের ব্যবসা করে কেউ যদি ব্যাংকে টাকা জমা রাখে কিংবা মানব পাচার, বিভিন্ন অবৈধ টাকা যদি ব্যাংকে জমা হয় তা শনাক্ত করার নির্দেশ দেন।  আইনুযায়ী আরো যা করা যায় সেসব বিষয়ে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা নিয়েই আজকে প্রশিক্ষণ শালা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম জোন প্রধান মোহাম্মদ সালেহ ইকবালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর। এছাড়াও বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ডেপুটি সহকারী নির্বাহী পরিচালক আবু রেজা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, রাঙামাটি ডিজিএফআই এর প্রধার কর্ণেল মোঃ শামসুল আলমসহ বিভিন্ন  স্থানীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions