অসহায় শাহজাহানকে রিকশা দিলেন জেলা প্রশাসক
প্রকাশঃ ১৯ জুলাই, ২০২১ ০২:৫৪:০৪
| আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:২৩:২৬
|
৬১৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানে যোগদান করেই বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদনের পাশাপাশি গরীব মেধাবীদের শিক্ষার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদানসহ নানান কর্মকান্ডে ইতিমধ্যে প্রশংসার খ্যাতি পেয়েছে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। তেমনি এবার করোনাকালীন লকডাউনে অসহায় হয়ে পড়া বান্দরবানের এক রিকশা চালক শাহজাহানকে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি রিকশা প্রদান এলাকায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
জানা যায়, বান্দরবানের এক প্রবীন রিকশা চালক মোঃ শাহজাহান। বয়স আনুমানিক ৬০। এই বৃদ্ধ বয়সে ভাড়ায় চালিত রিকশা ছিল তার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। অসহায় এ মানুষটির ৪ সন্তানের মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে মারা গিয়েছে, বাকি দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে ছেলেটি বান্দরবান টেকনিক্যাল কলেজে পড়াশুনা করে এবং মেয়েটি বিবাহিত। বৃদ্ধ বয়সে সস্ত্রীক বান্দরবানের কালাঘাটায় বসবাস করে মোঃ শাহজাহান। অত্যান্ত কষ্ট করে দিনযাপন করে এই রিকশা চালক।
জেলা প্রশাসনের সুত্রে আরো জানা যায়,সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আর্থিক সাহায্য পাওয়ায় জন্য একটি আবেদন করে শাহজাহান। আবেদনের প্রেক্ষিতে রিকশা চালক শাহজাহানের সাথে কথা বলার পর তাকে আর্থিক সাহায্য না দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একটি রিকশা তৈরি করে তাকে হাতে তুলে দেয় জেলা প্রশাসক। ১৯ জুলাই (সোমবার) দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই প্রবীন রিকশা চালককে নতুন একটি রিকশা উপহার দেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। এসময় তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ত্রাণের প্যাকেট ও হাতে তুলে দেয় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.কায়েসুর রহমান,সিমন সরকারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে করোনার এই মহামারি আর লকডাউনের মধ্যে কোরবানীর ঈদের আগে নতুন রিকশা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা শাহজাহান জানান, ‘ আমি পরিবার চালানোর জন্য কিছু অর্থ পাওয়ার আশায় জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু জেলা প্রশাসক আমাকে সারা জীবন পরিবার চালানোর জন্য একটি অবলম্বন তৈরি করে দিল’।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, “ আর্থিক সাহায্যের চাইতে একটি রিকশা কিনে শাহজাহানকে স্থায়ী আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেয়ে আমরা প্রশাসনের কর্মকর্তারা খুশি। আমরা চাই বান্দরবানের সবাই স্বাবলম্বী হোক এবং নিজ নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাক এবং তার পরিবার নিয়ে সুখী ও সুন্দরভাবে জীবনযাপন করুক ”।