বৃহস্পতিবার | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

দুর্গম লক্ষীছড়িতে প্রাণি সম্পদের গতিশীলতায় ডা. সুপর্না দে

প্রকাশঃ ০৭ জুলাই, ২০২১ ০৭:৫২:৪৬ | আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৫৯:৪৬  |  ২৯৪০
সিএইচটি টুডে ডট কম, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)। খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম উপজেলা হিসেবে পরিচিত লক্ষিছড়ি। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন অপ্রতুল, তেমনি সরকারি বেসরকারি সুযোগ সুবিধার অধিকাংশ মেলে না এই উপজেলার জনগোষ্ঠীর। এখানকার প্রানি সম্পদ বিভাগের সেবা নিয়ে অনেকেই ছিলেন দুশ্চিন্তায়। বর্তমানে লক্ষিছড়ি উপজেলায় প্রানি সেবার সুদিন ফিরেছে ডা. সুপর্না দে এর হাত ধরে।

ডা.সুপর্না দে শিম্পু ২০১৭ সালে ৩৫ তম বিসিএস এর মাধ্যমে প্রানি সম্পদ বিভাগে ভেটেরিনারি সার্জন হিসেবে খাগড়াছড়ির দূর্গম লক্ষীছড়ি উপজেলায় যোগদান করেন।

যোগদানের পর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন সহ ১১ জন জনবলের স্থলে মাত্র ৪ জন জনবল নিয়ে লক্ষীছড়ির মত দুর্গম এলাকায মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি নিজে গিয়ে গিয়ে প্রাণি খামার ভিজিট, প্রানি টিকা প্রদান, খামারীদের পরামর্শ ও সেবা প্রদান,  প্রশিক্ষন প্রদান, দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন, উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সহ গুরুত্ব পূর্ন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন যা একজন নারী কর্মকর্তার জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

করোনার এই দুঃসময়ে খামারীরা যখন বিভিন্ন ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন তখন তিনি নিজে গিয়ে খামারীদের খোজ খবর নিচ্ছেন এবং তাদের প্রাণি সম্পদ দপ্তর হতে বিভিন্ন সেবা ও পরামর্শ প্রদান করছেন।

খামারীদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য মুরগি ও অন্যান্য প্রাণি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে খামারী ও কৃষকদের দলগত উৎপাদন ও বাজারজাত করনে করনীয় বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করছেন।

সুপর্না তার এই ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০২০ সালে জয়িতা অন্বেষনে শিক্ষা ও চাকুরী ক্যাটাগরীতে জাতীয় পর্যায়ে “শ্রেষ্ঠ জয়ীতা” মনোনীত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে পুরষ্কার গ্রহন করেন।



ডা. সুপর্না দে শিম্পু বলেন, সরকার আমাকে এই উপজেলায় পদায়ন করেছে। যোগদানের পর থেকে চেষ্টা করছি সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে। একজন নারী হিসেবে দুর্গম এলাকায় কাজ করতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এলাকাগুলো অত্যন্ত দূর্গম হওয়ায় মোটর সাইকেল  অথবা  যেসব এলাকায় মোটরসাইকেল যায় না সে সকল এলাকায় পায়ে হেটে গিয়ে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করতে হয় যা একজন নারীর জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তারপরও করোনা মোকাবেলা করে এই এলাকার দরিদ্র খামারীরা যেন আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে সে জন্য আমি ও আমার দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ নিয়মিত খামারীদের সাথে যোগাযোগ, টিকা প্রদান , পরামর্শ ও অন্যান্য কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে বলে জানান সুপর্না।

তিনি বলেন লক্ষীছড়ি উপজেলায় জনবল অত্যন্ত কম বিধায় সেবা প্রদান ব্যহত হচ্ছে। ভবিষ্যতে জনবল বৃদ্ধি পেলে প্রাণি সম্পদ বিভাগের কার্যক্রম এ উপজেলায় আরও গতিশীল করা সম্ভব হবে।

এছাড়া ডা. সুপর্না দে শিম্পু তার ব্যাচে বিসিএস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কৃতিত্ব অর্জন করায় তাকে উচ্চতর প্রশিক্ষনের জন্য ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়াতে সরকারি খরচে প্রেরণ করা হয়। তিনি বর্তমানে এফএও এবং প্রাণি সম্পদ বিভাগের উপজেলা টু কমিউনিটি প্রকল্পে প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করছেন।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions