মঙ্গলবার | ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

মহালছড়ির কাটিংটিলা হতে চৌংড়াছড়ি গুচ্ছগ্রাম সড়কের বেহাল দশা, জনগণের ভোগান্তি

প্রকাশঃ ০৫ জুলাই, ২০২১ ০৬:৫৮:১৪ | আপডেটঃ ০৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:১৪:৫০  |  ৬৫৭

সিএইচটি টুডে ডট কম, মহালছড়ি ( খাগড়াছড়ি)। খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার কাটিংটিলা হতে চৌংড়াছড়ি গুচ্ছগ্রামের রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ৪ গ্রামের জনসাধারণের।


সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, রাস্তাটি খাগড়াছড়ি পার্বত্যজেলা পরিষদের অর্থায়নে সংষ্কার হয়েছিলো ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে। রাস্তাটি দুপাশ থেকে মাটি কেটে সমান করার পর আর কোন কাজই করা হয়নি। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে আবার কোন কোন জায়গায় রাস্তার দু’পাশ থেকে মাটি ভেঙ্গে পড়ে গিয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একমাত্র মোটরবাইক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।


স্থানীয় মোটরবাইক চালক খোরশেদ আলম জানান, দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া গ্রামের কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে দ্রুত উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিশেষ করে গ্রামের গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবকালীন সময়ে কঠিন সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়। এ রাস্তাটির দ্রুত সংষ্কার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি।


এ রাস্তা দিয়ে নিয়মিত হাঁটেন স্থানীয় কৃষক আবুল কাশেম। তিনি ক্ষোভের সাথে জানান, মেরামত না করার আগেতো রাস্তাটি ভালো আছিলো, তখন ইচ্ছেমতো চাঁদের গাড়ি দিয়ে আসা যাওয়া করা যেতো।  দেশের সব জায়গায় রাস্তা সুন্দর হয়, আমাগো গ্রামের রাস্তাটা সুন্দর হয়না ক্যান? এ রাস্তাটি মেরামত না হওয়ায় কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করণে ব্যাপক সমস্যার কথা জানান তিনি। এ রাস্তায় যানবাহন চলা অনুপযোগী হওয়ায় এলাকার ৪টি জনবহুল গ্রামের লোকজন উৎপাদিত পণ্য মাথায় কিংবা কাঁধে করে বহন করে নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করে আসতে হয়।


এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর নিবার্হী প্রকৌশলী তৃপ্তিকর চাকমা জানান,  কাটিংটিলা থেকে চৌংড়াছড়ি গুচ্ছগ্রাম পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছিলো জানি। তবে, আমি দায়িত্বে আসার আগেই প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তাটির মেরামতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এ মুহুর্তে জানা নেই।  রাস্তাটির দু’পাশে ড্রেন করে দেওয়ার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,  ড্রেন না থাকায় রাস্তাটির এ অবস্থা হয়েছে। হয়তো বরাদ্দের টাকা সংকুলান না হওয়ায় ড্রেন করা সম্ভব হয়নি। কেন এমন হলো, তা তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions