মঙ্গলবার | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

পার্বত্য অঞ্চলের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা : ফিরোজা বেগম চিনু এমপি

প্রকাশঃ ২১ জুলাই, ২০১৮ ০১:০৯:৪০ | আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৩৭:৩৪  |  ১৩৪১
শাহ আলম, সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এমপি বলেছেন, সংস্কৃতির মাধ্যমে একটি দেশকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়।  বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে আমরা কোন অংশেই  পিছিয়ে নেই। আমরা পার্বত্যবাসী সংস্কৃতির দিক থেকে  অনেক এগিয়ে আছি। পার্বত্য অঞ্চলে আমরা আমাদের সংস্কৃতিতে যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী। প্রচারের অভাবে তেমন প্রকাশ হয় না পার্বত্য অঞ্চলের সংস্কৃতি। পার্বত্য অঞ্চল অনেক প্রতিভাবান সাংস্কৃতিক শিল্পী রয়েছে। এখান থেকে জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনেক তারুণ রয়েছে। এমনিতেও পার্বত্য অঞ্চল থেকে পার্বত্যবাসীর জন্য প্রতিবছর কোন না কোন পর্যায়ে প্রতিযোগিতা থেকে সুনাম বয়ে আনে। যা আমাদের পার্বত্যবাসীর জন্য গৌরবের বিষয়।

সৃজনে উন্নয়নে বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটিতে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দু’দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় তিনি আরো বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার যথেষ্ট আন্তরিক পার্বত্যবাসীর জন্য। আওয়ামীলীগ সরকার সব সময় পার্বত্যবাসীর উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে। পাবর্ত্য এলাকার উন্নয়ন, জাতি সত্ত্বা, সংস্কৃতি ইত্যাদি রক্ষার ক্ষেত্রে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

রাঙামটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এমপি। এছাড়াও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সাইমা ইউনুছ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামালসহ অন্যন্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আজ সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক উৎসবে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত, আধুনিক গান, দেশাত্মবোধক গান, কবিতা আবৃত্তি, একক অভিনয়, পল্লীগীতি, লালনগীতি, লোকগীতি, আঞ্চলিক গান, জারি-সারি, মুর্শিদি ইত্যাদি গান পরিবেশন করেন জেলা ও উপজেলার স্থানীয় শিল্পীরা।

আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ সাংস্কৃতিক সংগঠন সঙ্গীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন উপভোগ করেন।

প্রসঙ্গত: দেশের তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সংস্কৃতি জাগরণ সৃষ্টি তথা দেশজ সংস্কৃতি ধারণ, লালন ও সম্প্রসারণের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে আজ থেকে দুদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions