শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

১৮ গ্রামবাসীর মুক্তির দাবিতে নানিয়ারচরে অবরোধ পালিত

প্রকাশঃ ১০ জুলাই, ২০১৮ ০৮:১২:৩২ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:৫২:৫০  |  ৭৩৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ১৮ গ্রামবাসীর মুক্তির দাবিতে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নব্য মুখোশবাহিনী প্রতিরোধ কমিটি এ অবরোধ কর্মসূচির আহবান করে। অবরোধ চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অবরোধের ফলে নানিয়ারচর উপজেলায় সড়ক ও নৌপথে কোনো প্রকার যান চলাচল করতে পারেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশসহ নিরাপত্তাবাহিনীর অতিরিক্ত টহল জোরদার ছিল।
নব্য মুখোশবাহিনী প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক ও নানিয়ারচর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতি লাল চাকমা বলেন, রোববার উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের হাতিমারামুখ এলাকা থেকে বিভিন্ন গ্রামের প্রধানসহ ১৬ নিরীহ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে, সংস্কারবাদী জেএসএস ও নব্য মুখোশাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এর আগে নানিয়ারচর বাজার থেকে আরও ২ জনকে অপহরণ করে তারা। এসব অপহৃত নিরীহ গ্রামবাসীকে এখনও ছেড়ে দেয়া হয়নি। অপহৃতদের মুক্তির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করছে অপহরণকারীরা। অথচ অপহৃতদের উদ্ধার এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। অবিলম্বে সম্পূর্ণ সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় অপহৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি বা উদ্ধার করতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে এলাকার জনগণ। তিনি এসব অপহরণ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নব্য মুখোশ বাহিনী প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব পরাণধন চাকমা বলেন, রোববার সংস্কারবাদী জেএসএস ও মুখোশবাহিনীর সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ইঞ্জিনচালিত নৌকা থামিয়ে বিভিন্ন গ্রামের ২৫ জনকে নামায়। পরে ৯ জনকে ছেড়ে দিয়ে ১৬ জনকে অপহরণ করে উপজেলার বড়াদাম নামক গ্রামের দিকে যায়।
এদিকে সোমবার বিকালে জেলার আরেক উপজেলা বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফের এক সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তার নাম স্বপন চাকমা (৪২)। তিনি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বি ব্লকের বাসিন্দা এবং প্রাক্তন ইউপি সদস্য বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তার নিজ বাড়িতে হানা দিয়ে স্বপন চাকমাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ অপহরণ ঘটনার জন্য জেএসএস সংস্কারবাদী দলকে দায়ী করা হচ্ছে। বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি পুলিশ। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions