বৃহস্পতিবার | ২৮ মার্চ, ২০২৪

ঝুঁকিতে রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়ক

প্রকাশঃ ২১ জুন, ২০১৮ ০৫:৪৯:৩৩ | আপডেটঃ ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০৯:০২:৪৭  |  ৮৩২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ফের ধসে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়ক। ২০১৭ সালের ১২-১৩ জুন ভারি বর্ষণে কয়েক সেতুসহ বিভিন্ন স্থানে ধসে বিধ্বস্ত হয় সড়কটির বেশিরভাগ অংশ। এরপর দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করে সড়কটির তদারকি সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটির মেরামত করা হয় টানা কয়েক মাস। কিন্তু বছর না যেতেই ফের ধসে যাচ্ছে সড়কটির মেরামত করা স্থানগুলো।    
জানা যায়, ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের নির্মান কাজ শেষ হয় ২০০৯ সালে। এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ সড়কের নির্মান কাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে। সড়কটির নির্মাণ নিয়ে ওঠে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ। ২২ কোটি টাকার এ সড়ক নির্মাণ কাজে প্রায় অর্ধেক টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। শুধু বাস্তবায়নকারী সংস্থা এলজিইিডির স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে পার্সেন্টেজ দিতে হয়ে ১০ শতাংশ হারে। সে হিসেবে শুধু এলজিইডিই প্রায় আড়াই কোটি টাকা হরিলুট করেছে। এলজিইডির কর্মকর্তা এবং সংশ্লি¬ষ্ট ঠিকাদাররা মিলে মোট বরাদ্দের প্রায় অর্ধেক টাকা লুটপাট করেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বাকি টাকায় যেসব কাজ হয়েছে তাতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রিসহ ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ১৯ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণের জন্য কাজ পেয়েছিলেন ২০ ঠিকাদার। প্রত্যেকে পান প্রায় ১কোটি ১৫ লাখ টাকার কাজ।
গত বছর বর্ষণে ভূমি ধসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি মেরামত করে এলজিইডি। এসব ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামত করা হয় গাছের খুঁটি গেড়ে এবং মাটির বস্তা দিয়ে। যেনতেনভাবে কাজ করায় এ বছর বৃষ্টিপাত শুরুতেই ফের ধসে যাচ্ছে সড়কটির মেরামত করা অংশগুলো।     
এলজিইডি রাঙ্গামাটি কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছর ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত কাপ্তাই বাইপাস সড়কে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে কয়েকটি সেতু নির্মাণ এবং ১০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়েছে।
এলজিইডি’এর রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী ইব্রাহীম খলিল বলেন, সড়কটির নতুন কাজ এখনও শুরু হয়নি। নতুন প্রকল্পের প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে কিন্তু এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া বর্ষায় কাজ করলে আবার ভেঙে যাবে। বর্ষা শেষ না হলে কাজ শুরু করা যাবে না।

দেখা গেছে, সম্প্রতি বর্ষণে ফের ধসে গিয়ে সড়কটির ৭ স্থানে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে হালকা যান চলাচল করলেও মাঝারি ও ভারি যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমনিতে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই সড়কটি ভারি যান চলাচল উপযোগী নয়।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions