সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে লঞ্চ, বাস ও সিএনজি চালক ও মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের শিকার হলো সাধারন যাত্রীরা। বৃহস্পাতবার সকালে জেলা প্রশাসন কর্তৃক অনুমতি দেয়া তানিয়া নামে একটি লঞ্চে যাত্রী উঠানো নিয়ে লঞ্চ, বাস ও সিএনজি মালিক সমিতি রাঙামাটি নৌ ও সড়ক পথে সকাল সাতটা থেকে সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ করে দেয় রেখেছিলো। এতে বিপাকে পড়ে লঞ্চ পথে চলাচলকারী শত শত যাত্রী। সমস্যা সৃষ্টি লঞ্চ নিয়ে হলে মালিক সমিতির লোকজন শহরের একমাত্র বাহন সিএনজিও বন্ধ করে দেয়। পরে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর চালু হয়েছে সকল যান চলাচল।
অনেকে যাত্রী বাধ্য হয়ে বোটে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে ঈদ করতে গেছেন, ঘোষণা ছাড়াই লঞ্চ বন্ধ ও শহরে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ।
লঞ্চযাত্রী মো.আতাউর বলেন,প্রতি বছর লঞ্চ মালিকেরা যাত্রীদের জিম্মি করে প্রায়শ: এধরনের আচরণ করে থাকেন। অন্যদিকে লক্কর জক্কর মান্দাতা আমলের লঞ্চ দিয়েই চলছে যাত্রীসেবা। এব্যাপারে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে। লঞ্চের সেবা নিয়ে অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন।
বাসযাত্রী আবুল হোসেন বলেন,তারা এ সময় কেন লঞ্চঘাটের ঘটনা বাস ষ্টেশনে নিয়ে এসে বাস যাত্রীদের হয়রানিতে ফেলেছেন। আমার বাড়ি উত্তরবঙ্গে ২ঘন্টা এখানে বসে থাকলে বাড়ি যাব কখন। রাঙামাটির প্রশাসনের উচিত এদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া।
লঞ্চ, বাস মালিক সমিতি সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘হঠাৎ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন মৌখিকভাবে একটি লঞ্চ চলার অনুমতি দেয়। আমরা বারবার জেলা প্রশাসককে বলেছি ঈদের আগে নতুন লঞ্চ অনুমতি না দেওয়ার জন্য, কিন্তু তিনি হঠাৎ করে অনুমতি দেওয়ায় সকালে লঞ্চ ঘাটে যাত্রী তোলা নিয়ে অন্য লঞ্চের শ্রমিকের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এর প্রতিবাদে আমার ধর্মঘট করতে বাধ্য হয়েছি।
বিষয়টি কথা বলতে রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহীদুজ্জামান মহসিন রোমানকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি)তাপস শীল জানান, লঞ্চ মালিক পক্ষের ২টি গ্রুপের মধ্যে লঞ্চের সিডিউল নিয়ে ঝগড়া বেঁধে এক পর্যায়ে লঞ্চসহ সকল যানবাহ বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকেরা। পরে সেটি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চালু হয়। ঈদের আগে এধরণের ঘটনা দু:খজনক।