বৃহস্পতিবার | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
১৩ জুন ২০১৭ইং

গত বছরের ১৩জুন পাহাড় ধসে বান্দরবানে নিহত হয় ৬জন

প্রকাশঃ ১৩ জুন, ২০১৮ ০৫:১৩:৩৭ | আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:০০:৩২  |  ৭৬১
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। টানা বর্ষণে বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ১৩ জুন ২০১৭ইং শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারা হলো ,কালাঘাটা কবরস্থান এলাকার রেবা ত্রিপুরা (২০), সদর উপজেলার লেমুঝিরি আগাপাড়া এলাকার লতা বড়–য়া (৭) মিতু বড়–য়া (৫) শুভ বড়–য়া (৪) কামরুন নাহার (৪০) সুপ্রিয়া বেগম (০৮)।

ঘটনার পরপর দমকল বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করে মাটির নীচ থেকে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করে। এদিকে পাহাড় ধসের ঘটনায় আহত হয়েছেন বিভিন্ন এলাকার আরও অন্তত ১১ জন। তাদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রবল বর্ষনের কারনে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে ভেঙ্গে ঘরের উপর ভেংঙ্গে পড়ে। এসময় ঘরে ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় পাহাড় ভেঙ্গে পড়লে মর্মান্তিক এঘটনা ঘটে, আর ঘটনার পর থেকে তাদের উদ্ধারে কাজ করছে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনার বিবরনে পৌর কাউন্সিলর অজিত দাশ বলেন- কালাঘাটা এলাকা পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকায় আগে থেকেই সেখানে বসবাসকারীদের সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মানুষ সরে যায়নি।  ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশসাকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা, তাৎক্ষনিকভাবে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।


২৩ জুলাই ২০১৭ইং

নাইক্ষ্যংছড়ি ১, রুমায় ৫জন নিহত


পরের মাস ৬ জুলাই বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ঘুমধুম পাড়ায় পাহাড় ধসে ছেমুনা খাতুন(৪৪) নামে এক বৃদ্ধা নিহত।

বান্দবানের রুমা উপজেলার ওয়াই জংশন এলাকার দলিয়ানপাড়ায় সড়কের উপর পাহাড় ধসের ঘটনা ৫জন নিহত হয়েছে। ২৩ জুলাই ২০১৭ইং সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
২২জুলাই শনিবার রাত থেকে ভারি বর্ষণে বান্দরবান রুমা সড়কের ওয়াই জংশন এলাকায় সড়ক দেবে যায়, আর এতে ওই সড়কে রাত থেকেই  সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
২৩ জুলাই রোববার সকালে বান্দরবান থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস রুমায় যাচ্ছিল। বাসটি সড়কের ভাঙা স্থানে পৌঁছালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পড়েন। পায়ে হেঁটে সড়কের ভাঙা অংশ পার হচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় হঠাৎ পাহাড় ধসে পড়লে বেশ কয়েকজন যাত্রী মাটি চাপা পড়ে নিখোঁজ হন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ,বাস থেকে নেমে ৫-৬জন যাত্রী ভাঙা রাস্তা পার হওয়ার সময় পাহাড় ধসে তাদের উপর পড়ে , আর তারা মাটির চাপে নিচে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবহিনী ,পুলিশ,দমকলবাহিনীর সদস্যরা উদ্বার অভিযান শুরু করে। ঘটনার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষষক  প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান। ঘটনাস্থলে মাটির নিচে চাপা পরা অবস্থায় চারজন নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজরা হলেন সিংমেচিং মার্মা, মুন্নি বড়ুয়া ,গৌতম নন্দী ও জবিউল আলম। এর আগে ঘটনার দিন বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আহত অবস্থায় ও চিং মে হ্লা মারমা (১৯) নামে এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
কয়েকদিন পরে বান্দরবানের সাঙ্গু নদী ও বাশঁখালী নদীর মোহনায় সিংমেচিং মার্মা, মুন্নি বড়ুয়া ,গৌতম নন্দী ও জবিউল আলম এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ।

চলতি বছর ২১ মে  
নাইক্ষংছড়িতে পাহাড় ধসের ঘটনায় ৩ জন নিহত,  ২ জনকে জীবিত উদ্ধার

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে পাহাড় ধসের ঘটনায় ৩ জনের লাশ উদ্ধার ও ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে উদ্ধারকর্মীরা মাটির নিচ থেকে এক নারীসহ ৩ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে।এ ঘটনায় বিকেলে মাটি চাপা পরার ৭ঘণ্টা পর শ্রমিক নুরুল হাকিমকে (২৫) জীবিত উদ্ধার করে রামু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, সুলতান আহম্মদের ছেলে শ্রমিক আবু আহম্মদ (৩০), মো.শাহাজাহানের ছেলে মো. জসিম (২৫) ও নারী শ্রমিক সোনা মেহের (৩৫)।

২১ মে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম ইউনিয়নের মনজয় পাড়া এলাকায় পাহাড়ের পাশে একটি মৎস্য খামারের পানি যাওয়ার নালা কাটতে গিয়ে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক নারীসহ ৫ শ্রমিক মাটি চাপা পরে। তাৎক্ষণিক আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নুর মোহাম্মদ (২৬) নামের এক শ্রমিককে।

পরে দমকল বাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবিসহ স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযানে নামে। বিকেলে মাটির নিচ থেকে নুরুল হাকিমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক নারীসহ মাটি চাপা পরা বাকি ৩ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।


বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions