বুধবার | ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

খাগড়াছড়িতে করোনাকালে প্রান্তিক কৃষকের পাশে বিএটিবি

প্রকাশঃ ০২ মে, ২০২০ ১০:৫৪:৩৪ | আপডেটঃ ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৩৪:১৩  |  ১০৭১
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। : নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে লীলা কেতন, নানা বৈচিত্র্যময় স্বর্গীয় সৌন্দর্যের তীর্থভূমি পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। এ জেলায় প্রায় ৮ লক্ষ মানুষের আয়ের একটি অন্যতম উৎস কৃষি। পাহাড়ের বেশিরভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ  জুম চাষ করে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ফসল উৎপাদন করে পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও লকডাউন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। করোনার প্রভাবে ফসল বাজারে নিয়ে গেলেও গ্রাহক সংকটে দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা।

জেলার দীঘীনালা, মাটিরাঙ্গা ও মহালছড়ি উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য ফসলের ন্যায় এ জেলার কৃষকদের আয়ের অন্যতম উৎস ও প্রধান অর্থকরী ফসল তামাক ইতিমধ্যে মাঠ থেকে ঘরে নিয়ে এসেছে। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রতি বছরে তামাক বিক্রি করে চাষীরা একটি ভালো পরিমাণ নগদ অর্থ পেয়ে থাকে, যা দিয়ে তারা পরিবারের খরচ চালানোর পাশাপাশি পরবর্তী ফসল যেমন আউশ ধান, সবজি ইত্যাদি উৎপাদনে বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে দেশে লকডাউন বিরাজ করায় চাষীর মাঝে তামাক বিক্রি নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। কেননা সরকারি নির্দেশনায় অন্যান্য কোম্পানি গুলোর মত তামাক কোম্পানি গুলোরও সীমিত পরিসরে কাজ গুটিয়ে নেবার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

কিন্তু চাষী এবং করোনা পরবর্তী সংকট পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তামাক কোম্পানি এগিয়ে আসে এবং সঠিক সময়ে তামাক ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। খাগড়াছড়িতে বর্তমানে বি.এ.টি.বি. তামাক চাষ এবং তামাক ক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতেও চাষীর অর্থনৈতিক বিষয়টি বিবেচনা করে ব্রিটিশ  আমেরিকান টোব্যাকো সঠিক সময়ে তামাক ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন চাষীরা।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার অন্তর্গত ১নং কবাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত ব্রিটিশ  আমেরিকান টোব্যাকোর ক্রয়কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, তারা সকল চাষীকে একত্রে না এনে প্রতি ঘন্টায় নির্দিষ্ট সংখ্যক চাষীকে অবহিত করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে তামাক ক্রয় করছে। চাষীদের থার্মোমিটার গান দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ, মাস্ক পরিধান,  হ্যান্ডওয়াশ/সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা, কোভিড -১৯ এর সচেতনতা মূলক পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকাতে চাষীরাও নিরাপদ বোধ করছে।

চাষীদের ভাষ্যমতে এই মুহূর্তে যদি তামাক না বিক্রয় করা যেত তাহলে এখন ঘরে বোরো ধান কাটার জন্য শ্রমিকের মজুরি দেওয়া যেত না। উপরন্তু তামাক একটি পচনশীল কৃষিপণ্য বিধায় এই মুহূর্তে এটি বিক্রয় না করলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। করোনা উত্তর বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যহত রাখতে চাষীরা এই মুহূর্তে পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions