রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: অনিক চাকমা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩ লংগদুর শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার বান্দরবানে দূর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সাথে সেনাবাহিনীর মতবিনিময় ১৬ বছর পর লংগদুতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত পরিকল্পিত সংঘাত সৃষ্টিকারী পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি পিসিসিপি'র
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহন এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় খাগড়াছড়ির মং সার্কেলের চীফ প্রয়াত মংপ্রু সাইনকে মরনোত্তর সন্মননা এবং মংপ্রু সাইন শিক্ষাবৃত্তি প্রবর্তন করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর খাগড়াছড়ি টাউনহলে আজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন। একই সময়ে জেলার আরো ৬ জন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে সন্মাননা জানানো হয়। এ উপলক্ষে এসএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফলকারী ৪০ শিক্ষার্থীকে ক্রেষ্ট ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
আজ শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সন্মাননা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে: কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল সাদিক, জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান, মং সার্কেল বর্তমান রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার হাজী দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী ও পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম।
উল্লেখ্য যে, তৎকালীন মং সার্কেলের রাজা মংপ্রু সাইন তাঁর সব কিছু বিলিয়ে দিয়েই মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনটি প্রথাগত রাজা ব্যবস্থার মধ্যে কেবল খাগড়াছড়ির মং রাজাই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি ভূমিকা রাখা একমাত্র রাজা। অথচ এত বছরেও তাকে অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। মংরাজা মংপ্রু সাইন ১৯১০ সালের ১০ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন এবং ১৯৮৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।