মঙ্গলবার | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে ৬ মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না ১৪ কর্মচারী

প্রকাশঃ ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০৫:৪৬:০৬ | আপডেটঃ ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০৭:৫৯:৫৭  |  ১০৪০
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ১৪ কর্মচারী ছয় মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছে না। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ শুন্য থাকায় আটকে আছে কর্মচারীদের বেতন, উন্নয়ন কাজ সহ অন্যান্য রুটিন কার্যক্রম। ছয় মাস অতিবাহিত হলেও শুন্য পদে নির্বাহী প্রকৌশলী পদায়ন না হওয়ায় অচলাবস্থা শুরু হয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মধ্যকার সমস্যায় শুন্য রয়েছে খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী পদায়ন।

মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১৯ সালের ১১ জুলাই ৬৮৩ স্মারকে খাগড়াছড়ি ও বান্দবানের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেনকে শুধুমাত্র বান্দরবান এবং মো. কামাল হোসেন নামে একজনকে খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত।

প্রজ্ঞাপন জারির পর ২৫ জুলাই খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের পত্র নং ২১৫৬ এ খাগড়াছড়ি জেলায় পদায়নকৃত মো. কামাল হোসেনকে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে গ্রহণে অসম্মতি জানিয়ে সংশ্লিস্ট বিভাগকে পত্র দেওয়া হয়। মো. কামাল হোসেনের যোগদান পত্র গ্রহণ না করায় এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ ছাড়পত্র না দেওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন মো. সোহরাব হোসেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালার ৩ এর (খ) ভঙ্গের দায়ে মো. সোহরাব হোসেনকে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। গত ২০ অক্টোবর বিভাগীয় মামলার শুনানী ও কারণ দর্শানো বিজ্ঞপ্তির জবাব বিবেচনা করে ২৯ ডিসেম্বর মো. সোহরাব হোসেনের সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। বান্দরবান জেলার কার্যক্রম চলমান রাখতে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্বে পুনঃরায় পদায়ন করলেও খাগড়াছড়ি জেলার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।

এতে করে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে অচলাবস্থা চলছে খাগড়াছড়ির জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে। নির্বাহী প্রকৌশলী না থাকায় খাগড়াছড়ি কার্যালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর ১৪ কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে আছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

পাম্প মেশিন চালক ফখরুল আলম সরকার জানান, গতবছরের আগস্ট থেকে বেতন হচ্ছে না। ধার দেনা করে মাস কয়েক চললেও এখন একধরনের অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছি পরিবার পরিজন নিয়ে। কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের কথা বিবেচনা না করেন তাহলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।

খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী না থাকায় ছয় মাস ধরে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর ১৪ জন বিভিন্ন পদের কর্মচারীর বেতন হচ্ছে না। এ ছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী না থাকায় জনস্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী জানান, খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যেন দ্রুত পদায়ন করা হয় সে বিষয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান আছে।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions