রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: অনিক চাকমা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩ লংগদুর শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার বান্দরবানে দূর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সাথে সেনাবাহিনীর মতবিনিময় ১৬ বছর পর লংগদুতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত পরিকল্পিত সংঘাত সৃষ্টিকারী পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি পিসিসিপি'র
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। রাসেল হত্যাকান্ডকে রাজনৈতিক রং দিয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ নেতাকমীদের হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেছেন, জেলা ছাত্রলীগের একাংশ।
শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে মেয়রপন্থী বলে পরিচিত জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজের অনুসারীরা আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজ দাবী করেন, রাসেল কোন দিন,কখনো ছাত্রলীগের নেতা বা কর্মী ছিল না। ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে তার নাম নাই। মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও জেলা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের হয়রানী উদ্দেশ্যে বর্তমান এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার গুটিকয়েক অনুসারী খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে জোট সরকারের হামলা-মামলার শিকার ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে নিজেদের পকেট ভারী করার অপ-রাজনীতির অংশ হিসেবে রাসেল হত্যাকান্ডের প্রকৃত খুনীদের আঁড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ঈমান হোসেন, ফারুক আহম্মদ, প্রজ্ঞা বীর চাকম, নুরুল আলম রনি ও নাজমুল হাসান অপু।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা আওয়ামীলীগে সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমা নেতৃত্বে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ রাসেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলমস ও তার অনুসারিদের দায়ী করে গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়।
গত ২৪ মার্চ জেলা শহরের মিলনপুর ব্রীজ এলাকায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ রাসেল শেখ(১৭)কে এলোপাথারী কুপিয়ে ব্রীজের নীচে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টা জেলার মানিকছড়ি এলাকায় রাসেল মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে।
এ ঘটনায় নিহত রাসেলের মা খোদেজা বেগম রবিবার(২৬ মার্চ) রাতে বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম ও জেলা আওয়ামীলীগে শিক্ষা ও মানব সম্পাদক সম্পাদক দিদারুল আলমসহ প্রতিপক্ষের ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অন্তত ১০/১৫ অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসাসী করে মামলা করে।
উল্লেখ, গত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি আওয়ামীলীগে বিভক্তি দেখা দেয়। সে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে প্রতিনিয়ত হামলা,মামলা ও সংঘর্ষ লেগেই ছিল।