মঙ্গলবার | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
দীঘিনালায় সেটলার পুনর্বাসন ও মুখোশ সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ

যৌথবাহিনীর অভিযানের আড়ালে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে

প্রকাশঃ ২২ মে, ২০১৮ ০২:৪৫:২৮ | আপডেটঃ ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:০৮:০৬  |  ১৮০৯
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। যৌথবাহিনীর অভিযানের আড়ালে আবারো দীঘিনালার সাধনাটিলায় সেটলার পুনর্বাসন ও নব্য মুখোশ বাহিনীর অপহরণ-মুক্তিপণ, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থতি সৃষ্টির প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।

গতকাল সোমবার (২১ মে ২০১৮) বিকাল ৪টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুনয়ন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর সংগঠক প্রতীম চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরূপা চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমা।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন,যৌথবাহিনীর অভিযানের আড়ালে ভূমি বেদখল ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করছে। খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় সংস্কারবাদী জনসংহতি সমিতি ও নব্য মুখোশবাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সাধারণ জনগণ ও ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। এই সন্ত্রাসীরা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর  নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অবস্থান করে এলাকার সাধারণ মানুষ, ছোট বড় ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া গ্রামবাসীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করছে। অপরদিকে দীঘিনালার বাবুছড়ায় সাধনাটিলা বনবিহারের জায়গা বেদখল করে সেটলার বাঙালিদের পুনর্বাসেনর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

বক্তার আরোা বলেন, রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরে সম্প্রতি একাধিক হত্যাকা-ের পর আসামী গ্রেফতারের নাম করে যে অভিযান চালানো হচ্ছে তা মূলত রাজনৈতিক দমন-পীড়নের অংশ হিসেবেই পরিচালিত হচ্ছে। ইউপিডিএফ-এর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চালানো এ অভিযানে জনপ্রতিনিধি, গ্রাম প্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ নিরীহ গ্রামবাসীদের ঘরবাড়িতে তল্লাশি, ধরপাকড়সহ নানা হয়রানি করা হচ্ছে। অথচ সংস্কারবাদী জেএসএস ও মুখোশ বাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সেনা প্রহরায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার সুযোগ দিচ্ছে।

বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে হিল উইমেন্সফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ, মিঠুন চাকমাসহ এ পর্যন্ত ১০ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী, সমর্থককে হত্যা করা হলেও সরকার আসামীদের গ্রেফতারে কোন অভিযান পরিচালনা করেনি। উপরন্তু প্রশাসনের নিরাপত্তায় এসব ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয় সরকার একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লালন-পালন করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করছে।

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক নীতি শোভা চাকমা প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions