বৃহস্পতিবার | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
রাসেল হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সাংবাদিক সম্মেলন

মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ :পুরো পরিবারকে শেষ করে দেয়ার হুমকীর অভিযোগ

প্রকাশঃ ২৯ মার্চ, ২০১৮ ০১:৩২:১৫ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:৫০:০১  |  ৭৯৮

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ রাসেল(১৭) হত্যাকান্ডের ঘটনায় খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে জেলা ছাত্রলীগ। বৃহষ্পতিবার সকালে শহরের কদমতলী এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারেএ  সাংবাদিক সম্মেলনটি অনুষ্টিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আমির হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা নুরন্নবী চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা, কল্যান মিত্র বড়–য়া, মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মংক্যাচিং চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,  জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমা, রাসেলের বাবা নুর হোসেন ও মা মাজেদা বেগম।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, রাসেল হত্যাকান্ডের ৫দিন অতিবাহিত হলেও এখন মামলার প্রধান আসামী পৌর মেয়র রকিফকুল আলম, তার ছোট ভাই দিদারুল আলমসহ এজহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টো প্রশাসনের সহযোগীতায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
গত পৌর নির্র্বাচনের পর থেকে দলের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম, তার ছোট ভাই রফিকুল আলম ও দিদারুল আলমের অনুসারীদের হামলায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলা, নির্যাতন করা হয় বলে জানানো হয়।
এদিকে রাসেলের পরিবার থেকে অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালের ২নভেম্বর রাসেল হত্যার আগে মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীরা বাসায় হামলা, ভাংচুর ও রাসেলের মা’কে কুপিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়। পাননি কোন প্রতিকার। ওই মামলার ৫ আসামী রাসেল হত্যার ঘটনায় জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাসেলের মা, বাবা, বড়বোন কান্নাজড়িত কন্ঠে অভিযোগ করেন, পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করায় তাদের বাসায় গিয়ে পুরো পরিবারকে শেষ করে হুমকি দিচ্ছে। তারা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বলেন, আমাদের কিছুই চাওয়া নেই, হত্যাকারী বিচার এবং ফাঁসি চাই।
গত ২৪ মার্চ জেলা শহরের মিলনপুর ব্রীজ এলাকায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ রাসেল শেখ (১৭)কে ছুরিকাঘাত করে আহত করা করে দুর্বৃত্তরা।  এ ঘটনায় রাসেলের মা মাজেদা বেগম বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগে শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমসহ প্রতিপক্ষের ১৯ জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত  আরো অন্তত ১০/১৫ জনকে আসাসী করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে।                      


এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions