শনিবার | ১৮ মে, ২০২৪
রাঙামাটিতে

জায়গায় ঘেড়া দেয়া নিয়ে বন বিভাগের কর্মচারীদের হামলায় যুবলীগ শ্রমিকলীগের ৬ কর্মী জখম

প্রকাশঃ ২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ১০:৩৯:৫৩ | আপডেটঃ ১৩ মে, ২০২৪ ০৯:৪২:২৯  |  ১৪১৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি শহরের প্রধান বাণিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র বনরুপা ফরেষ্ট রোডের কবরস্থান এলাকায় জায়গা ঘেরা বেড়া দেয়া নিয়ে তর্ক বির্তকের এক পর্যায়ে বনবিভাগের কর্মচারীরা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগ কর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে বনরুপা ফরেষ্ট রোড এলাকার কবরস্থানের সামনে বন বিভাগের লোকজন তাদের নিজস্ব বাউন্ডারী ওয়ালের নিচের অংশ দখল করে ফুলের চারা লাগানোর জন্য লোহার ঘেরাবেড়া দিতে গেলে পুরাতন দোকানদারসহ যুবলীগ এবং শ্রমিকলীগের খেটে খাওয়া লোকজন তাতে বাঁধা দেয়। এসময় বন বিভাগের লোকজনের সাথে তর্ক বির্তকের এক পর্যায়ে দক্ষিন বনবিভাগের ফরেষ্ট গার্ড কামরুল বেশ কয়েকজন লাঠি সোঠা নিয়ে সেখানকার ভাসমান ব্যবসায়ী ও যুবলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতা কর্মীদের মারধর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

হামলায় আহতরা হলেন- পৌর যুবলীগ ৮নংওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো.নাছির(৩৪),৭নংওয়ার্ডের শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.আবছার ওরফে শহর আলী(৩৮), শ্রমিকলীগ সদস্য মো.হোসেন(৪৩), মো.আরিফ(৩৩), মো.জামাল (৩৭)ও মো.জুয়েল(৩২)।

পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির বলেন, ওই জায়গায় শান্তি শৃংঙ্খলা বজায়ের লক্ষে আমরা কথা বলতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছি। আমরা চাইলে বন বিভাগের লোকজনকে মারধর করতে পারতাম। কিন্তু পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিবে যার কারনে আমরা উত্তেজিত হইনি। ফুটপাতে লোহার ঘেরাবেড়া দিতে নিষেধ করার পরও বন বিভাগ কাজ করছে।

রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন,বন বিভাগ ফুটপাতে লোহার ঘেরাবেড়া দিতে গেলে পৌর সভার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু বন বিভাগ সে কাজটি করেনি। তবে যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃজনক। মারধর কেউ আশা করেনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের সকল পর্যায়ে আলাপ আলোচনা করে বন বিভাগের নতুন বাউন্ডারী ওয়ালের নিচে সৌন্দর্য বর্ধক করার লক্ষে বন বিভাগ ফুলের বাগান তৈরী করার জন্য ওই জায়গায় লোহার ঘেরাবেড়া দিতে গিয়ে বন বিভাগের লোকজন ও পুলিশের সাথে স্থানীয়দের সাথে বিরোধ বাধে এতে মনে হয় পুলিশের ধাক্কায় ২ -৩ জন জখম হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টা আমার জানা নেই।

কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সত্যজিৎ বড়–য়া বলেন,বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়কে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। আমরা বিষয়টি পৌর মেয়র ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ হস্তক্ষেপে নিরসনের জন্য অনুরোধ করি।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions