শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশঃ ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ১২:৩৪:১৪ | আপডেটঃ ২৩ মার্চ, ২০২৪ ০৭:০৫:৪২  |  ১০৯৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে নুরুল আজমকে বহিষ্কার ও তাঁর নানা কু-কুর্মের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সহকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক-নৃত্য ও কন্ঠশিল্পী।

শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৫ দফা দাবি সম্মলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করে নেতৃবৃন্দ।  

মানববন্ধন থেকে নেতৃবৃন্দরা দাবি তুলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে নুরুল আজমকে বহিষ্কার করে একজন নারীকে নিয়ে সামাজিক ভাবে হেয় করার উদ্দেশ্য কু-রুচিপূর্ণ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজ বুকে পোস্ট করার বিষয়টি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।  

এ সময় তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজস চাকমা, সদর উপজেলা কমিটির সম্পাদক পরিতোষ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি শিল্পী সংসদ সভাপতি আবুল কাশেম, শিল্পী ফারুক এবং শিল্পী পলাশ।

মানববন্ধন থেকে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাবেক শিবির নেতা ও বর্তমানে আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আজমকে গ্রেপ্তার, সাংবাদিক দম্পতির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, সহকারি শিক্ষিকা ও নৃত্যশিল্পী এ্যামিলি দেওয়ান ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা প্রদানসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেয় নেতৃবৃন্দরা। এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি’র সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদায় শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও জেলা প্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম-এর কাছে একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন শিক্ষক ও শিল্পীরা।

এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আজম বলেন, সাংগঠনিক মতামত না নিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমী, সহকারি শিক্ষক সমিতি ও ঝর্ণাধারা’র নাম ভাঙিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ১৮ বছর ধরে জীতেন বড়–য়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী’র সা: সম্পাদক ও ঝর্ণাধারা’র কচিকাঁচার আসর-এর পরিচালক পদ দখল করে সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ আত্মসাত করে চলেছেন। এসব বিষয়ে মুখ খোলার কারণেই তাঁরা চিহ্নিত কিছু মানুষ তাঁর (নুরুল আজম) সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, পেশাগতভাবে জীতেন বড়–য়া ও নুরুল আজম সাংবাদিকতায় যুক্ত থাকলেও তাঁরা দুই জনের মধ্যে বর্তমানে ‘টাগ অব ওয়ার’ চলছে। মূলত: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জীতেন বড়–য়া’র স্ত্রী’র একটি অশ্লীল পর্ণো ভিডিওকে কেন্দ্র করেই এই বিরোধের সূত্রপাত। এ ঘটনায় তাঁরা দুই জনই একে-অপরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন। এরমিধ্যে নুরুল আজম জেল থেকে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions