শনিবার | ১৮ মে, ২০২৪

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানব সৃষ্ট দুর্যোগ দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে : দীপংকর তালুকদার (ভিডিওসহ)

প্রকাশঃ ২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ০৪:০২:৪৮ | আপডেটঃ ০৯ মে, ২০২৪ ০৬:১৮:৫৯  |  ১১২৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন,  পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যদি অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা না যায়, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না যায়, অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা না যায় তাহলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে মানব সৃষ্ট দুযোগ আমাদের প্রতি পদে পদে দুর্যোগ ও দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে সবকিছুতে নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে তাই এখানে উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সমতলে মেডিকেল কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন হয়, হরতাল হয় আর  সরকারের আন্তরিকতার কারনে পাহাড়ে মেডিকেল কলেজ, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে সেখানেও বাধা, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আমরা বিশ^বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেছি, এখন চতুর্থ বর্ষে ক্লাশ শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে ত্রাণ ও দুযোর্গ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পাহাড় ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, ভূমি ধ্বসের অন্যতম কারণ বনায়ন উজার। পার্বত্য চট্টগ্রামে বন উজার করে সমস্ত পাহাড় ন্যাড়া করে ফেলা হয়। ১৯৯৬সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বনায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, অর্থও প্রদান করা হয় কিন্তু নীতিবাচক রাজনীতি ও পরিবেশের কারণে প্রায় ৩শ কোটি টাকা ফেরত দিতে হয়।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারিদের পুনর্বাসন করতে গেলেই এখানে আওয়াজ উঠবে শান্তি চুক্তি লংগন হচ্ছে, বাহির থেকে লোক এনে এখানে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। আমাদের সাথে বিমাতাসুলভ আচারণ করা হচ্ছে। ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রাণালয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেনো, মানব সৃষ্ট দুর্যোগেও আসতে হবে। মানব সৃষ্ট দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে, বন কর্মকর্তারা বনায়ন করতে চাচ্ছে কিন্তু বনে যেতে পারছেন না। কারণ জঙ্গলে বসে আছে অবৈধ অস্ত্রধারীরা। আমরা যদি স্বাভাবিক জীবনে বসবাস করতে না পারি তাহলে সব সিদ্ধান্ত বিফলে যাবে। আমরা বনায়ন করবো দেশের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে। সুতরাং জনগণের কল্যাণের জন্য আমরা সু-সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমরা সিদ্ধান্ত নেই, তারপর আমরা পিছু টান মারি।


দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, সরকারি নিয়ম আছে পাহাড় কাটা যাবে না কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় না কাটলে এখানে উন্নয়ন করা অসম্ভব। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমতলে যে ডিজাইন, পার্বত্য চট্টগ্রামেও একই ডিজাইন। তাহলে এখানে পাহাড় কাটা যাবে না এইরকমই যদি আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে পাহাড়ের না কেটে ডিজাইনের যদি পরিবর্তন করতে পারি তাহলে পাহাড় কাটার প্রয়োজন পড়ে না। আন্ত:মন্ত্রনালয় বৈঠকের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত যাতে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত না হয়।
রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions