শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪
পানছড়ির

যৌথ খামার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সামগ্রী পেলো

প্রকাশঃ ২৬ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৭:০২:৫২ | আপডেটঃ ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:২৬:১৮  |  ১০৭৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। পাড়ার শিশুদের দূরের বিদ্যালয়ে যেতে কষ্ট হতো বলে পানছড়ি উপজেলার যৌথ খামার মারমা পাড়ার অভিভাবকদের মনো কষ্টের শেষ ছিল না। পাড়ার দরিদ্র বাসিন্দারা সবাই মিলে শুরু করলেন একটি বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ। সবাই মিলে পাড়ার কাছাকাছি একটি স্থানে সবার সম্মতিতে শুরু হলো গাছ-বাঁশ আর বেড়া দিয়ে ছোট্ট একটি স্কুল ভবন নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। ভবন নির্মাণ শেষ হবার পর স্বেচ্ছায় শিক্ষকতার মানুষ মেললেও অর্থাভাবে মেঝেতে বসেই শিশুদের পাঠদান শুরু হয়। প্রচন্ড শীতের মধ্যে শিশুদের এই দূরাবস্থার কথা জানতে পারেন তরুণ রাজনীতিক ও পানছড়ি প্রেসক্লাব-এর সাবেক সভাপতি জয়নাথ দেব।

তিনি সরেজমিনে বিদ্যালয়টির করুণ দশা দেখে নিজ উদ্যোগে প্রয়োজনীয় ৮ জোড়া টুল-বেঞ্চ এবং দুটি কাঠের ব্ল্যাক বোর্ড প্রদানের তাগাদা বোধ করেন। বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাথ দেব ও যুগ্ম সম্পাদক বিজয় কুমার দেব উপস্থিত থেকে বিদ্যালয়ে গিয়ে বিদ্যালয়ের অভিভাবক-শিক্ষক ও শিশুদের মাঝে প্রয়োজনীয় শিক্ষা তুলে দিলে এলাকাবাসী খুশীতে আত্মহারা হয়ে যান।

এ সময় উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি উজ্জ্বল চৌধুরী ও পানছড়ি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মো. শাহাজাহান কবিরও উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয় প্রধান ম্রানুচিং মারমা জানান, অবহেলিত এই দূর্ঘম পাহাড়ি এলাকায় তিন কিলোমিটারের আশেপাশে কোনো বিদ্যালয় নেই। কাছে যে বিদ্যালয়টি রয়েছে সেখানে শিশুদের চেঙ্গীনদী পার হয়ে যেতে হয়। তাই এলাকাবাসীর উদ্যেগে ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা ও সাঁওতাল সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক শিশু অধ্যয়নরত রয়েছে।

সহকারী শিক্ষক সাগরিকা সাঁওতাল জানান, বিদ্যালয়ে এখনও অনেক সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে টয়লেট ও খাবার পানির দিকটা নিশ্চিত হলে শিশুদের কষ্ট অনেকটা কমে যাবে।

রাজনীতিক ও শিক্ষানুরাগী জয়নাথ দেব জানান, বর্তমান সরকারের শিক্ষাবান্ধব উদ্যোগে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতে নতুন নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা লাল ত্রিপুরার নির্দেশনায় তিনি এসব ষিক্ষা উপকরণ প্রদান করেন।

তিনি জানান, খুব শিগগির বিদ্যালয়টির অন্যন্য সমস্যা সমাধানেও উদ্যোগ নেয়া হবে।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions