শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
ফলাফল প্রত্যাখান করে উষাতন তালুকদারের সংবাদ সম্মেলন

“রাঙামাটি আসনের ফলাফল বাতিল না করলে পাহাড়ে যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির দায় নির্বাচন কমিশনের”

প্রকাশঃ ০১ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৮:৪০:১৯ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৪:৫১:১১  |  ১০২২৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৯৯-পার্বত্য রাঙামাটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালকদারের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে ভোটকেন্দ্র দখল করে অবাধ জালভোট প্রদান ও ভোট ডাকাতিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন, জনসংহতি সমিতির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। তিনি অবিলম্বে ফলাফল বাতিল দাবি করে বলেন, অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামে যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এ সময় নির্বাচনকালীন আটক করা তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় শহরের রাজবাড়ির সাবারাং রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান, আসনটির সিংহ প্রতীকের জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার। এ সময় জনসংহতি সমিতির উপদেষ্টা ধীর কুমার চাকমা, কেন্দ্রীয় নেতা চাইথোয়াই মারমা, সৌখিন চাকমা, উদয়ন ত্রিপুরা, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি কিশোর কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল খীসা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সভানেত্রীয় জয়ীতা চাকমাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঊষাতন তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলারবাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। বেশিরভাগ কেন্দ্র দখল করে জালভোটের ছড়াছড়ি ছিল নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিক। প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্টদের ওপর হামলা করে তাদেরকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যারা ঢুকেছিলেন তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে। ভোট দেয়া হয়ে গেছে বলে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেয়া হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়ে ফেরত পাঠায় আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাত্তাবাহিনী। পরিচয়পত্র না থাকার অজুহাতে কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। নজিরবিহীন এই ভোট ডাকাতির নির্বাচন কখনও-ই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা রাঙামাটি জেলাবাসী কখনও-ই মেনে মেনে নেবে না। তাই দেশের গণতান্ত্রিক শাসনের বৃহত্তর স্বার্থে এবং রাঙামাটি জেলাবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ২৯৯-রাঙামাটি আসনের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করতে হবে। আমি ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখান করছি।

ঊষাতন তালুকার আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও আমার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তাতিন্দ্র ও সুদর্শন চাকমার নেতৃত্বাধীন সংস্কারপন্থী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নানাভাবে মদদ দিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় ২১ ডিসেম্বর ওইসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদেরকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান তৈরি করে দেয়া হয়।  প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবাহিনী এবং তাতিন্দ্র ও সুদর্শন চাকমার নেতৃত্বাধীন সংস্কারপন্থীদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আমার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।

নির্বাচনের দিন সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর প্রাক্কালে আওয়ামীলীগের কর্মীরা প্রশাসনের সহায়তায় লংগদু উপজলার ১৭টি, বাঘাইছড়ির ১৭টি, কাপ্তাইয়ে ৬টি, কাউখালীতে ১৩টি, নানিয়অরচরে ২টি, বিলাইছড়িতে ২টি এবং রাজস্থলীতে ১টি ভোটকেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ওই সময় জেলা রিটানিং, সহকারী রিটানিং অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে  অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। জেলা রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রশাসনের পক্ষে কোনো ব্যবস্থা-ই নেয়া হয়নি।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions