সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে ‘রাজনীতিমুক্ত’ প্রত্যয়ন দিয়ে আলোচনায় জামায়াত আমীর রাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত, নেতৃত্বে সেতু-জনি জেলা প্রশাসককে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদায় সংবর্ধনা জেলা প্রশাসককে বদলিজনিত কারনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো রাঙামাটি প্রেস ক্লাব লক্ষীছড়ির দুর্গম গ্রামে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করলো গ্রীন হিল
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এমএন লারমার) ৪১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, এম এন লারমা আমাদের মাঝে না থাকলেও তার রেখে যাওয়া আর্দশগুলো আমরা এখনো লালন করছি, পালন করছি। এম এন লারমা একজন ধৈর্যশীল, দুরদর্শিতা, সৎ, নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন। আজকে তার মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন মানে আমরা আরোও আর্দশকে স্মরন করে আরও মনকে সুদৃঢ় ও জাগ্রত করা। আমরা এম এন লারমাকে হারিয়েছি এই আরেক এমএন লারমা যে কবে আরোও জন্ম নিবে এটা অনিশ্চিত। যারা এম এন লারমাকে হত্যা করেছে তারা উচ্চ বিলাসী, ক্ষমতা লোভী ও সুবিধাবাদী। যার কারণে তারা এম এন লারমা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে হত্যা করেছে।
রবিবার সকালে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির আয়োজনে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এমএন লারমা) ৪১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরন সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি ডা.গঙ্গা মানিক চাকমা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ভবতোষ দেওয়ান, আদিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ডা. কনিষ্ক চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উইলোচিং মারমা সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, ছাত্র- যুব সমাজ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
শোক সভায় বক্তারা বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা শুধু পাহাড়ের মানুষের নেতা ছিলেন না তার সংগ্রাম ছিল দেশের সকল শ্রেণির নিপীড়িত গণমানুষের পক্ষে, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে। অধিকার আদায়ের লড়াই করতে জীবন দিয়েছেন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। দীর্ঘ সময়ে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করে জুম্ম জনগণের অধিকার ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ হাতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
এর আগে সকাল ৯ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে অস্থায়ীভাবে নির্মিত এম এন লারমা প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এমএন লারমার ৪১ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ১৯৩৯ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নে গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ির জেলার পানছড়ি উপজেলার খেদারাছড়া থুম এলাকায় বিভেদপন্থীদের সাথে এম এন লারমা সহ আটজন সহযোদ্ধা নিহত হন।