শনিবার | ২৭ জুলাই, ২০২৪

আলীকদম তৈন রেঞ্জ থেকে চুরি হওয়া বিপুল পরিমাণ কাঠ উদ্ধার

প্রকাশঃ ২০ মে, ২০২৪ ০৩:৫৯:২৯ | আপডেটঃ ২৬ জুলাই, ২০২৪ ০৪:৫৯:৫৫  |  ২৭৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সরকারি রিজার্ভ ফরেস্ট তৈন রেঞ্জের আওতাধীন দপ্তর ঝিরি ও কাঁকড়া ঝিরি বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে চুরি হওয়া মূল্যবান সেগুন কাঠ উদ্ধারে চট্টগ্রামের চকরিয়ায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব ও বন বিভাগের একটি অভিযানিক দল। এসময় চুরি হওয়া বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় কাউকে আটক করতে পারেনি।

রবিবার (১৯ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে র‌্যাব ও বন বিভাগের সদস্যরা চকরিয়া পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ড এর মগবাজার সংলগ্ন সালাম কাউন্সিলরের মালিকানাধীন একটি স’মিলে এই অভিযান পরিচালনা করে। এসময় স’মিল থেকে ৬শ ঘনফুট মূল্যবান সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত গাছ সাম্প্রতিক সময়ে আলীকদম তৈন রেঞ্জের আওতায় মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে চুরি হওয়া কাঠ বলে শনাক্ত করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। উদ্ধারকৃত কাঠগুলো পাঁচটি ট্রাক যোগে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এখনো বিপুল পরিমাণ চুরি হওয়া কাঠ চোরাকারবারিদের কাছে রয়েছে বলে সুত্রে জানা যায়।

সুত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে আলীকদমের তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলফিকার আলির প্রত্যক্ষ যোগসাজশে তৈন রেঞ্জ সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আওতায় চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের কাঁকড়া ঝিরি ও দপ্তরঝিরি এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশত বয়সী প্রায় তিন কোটি টাকার সেগুন গাছ কেটে নিয়ে যায় কাঠ পাচারকারি সিন্ডিকেট এর সদস্যরা। সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে চুরি করে গাছ বিক্রির ঘটনা জানাজানি হলে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সিনিয়র বন কর্মকর্তা হাবিব উল্লাকে আহ্বায়ক, লামার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব এবং ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়। এই কমিটিকে সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এদিকে বান্দরবানের আলীকদমে তৈন রেঞ্জ এর আওতাধীন সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা কর্তৃক তিন শতাধিক সেগুন গাছ অবৈধ উপায়ে বিক্রি করে তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.আরিফুল হক বেলাল জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ চুরি ও পাচারের ঘটনা জানতে পেরে ৩সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, এই চুরির ঘটনায় ৭টি মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions