শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪
ঢাকায় নানিয়াচর এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

জনপ্রতিনিধিদের নামে মামলা প্রত্যাহার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের খুন-অপহরণ-চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

প্রকাশঃ ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০২:২৫:২২ | আপডেটঃ ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:২৩:৫৫  |  ১০৬১
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক।  রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলায় একটি বিশেষ মহলের মদদ পুষ্ট চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক খুন, অপহরণ, মুক্তিপণ ও জোর পূর্বক চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, রোববার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে নানিয়াচর এলাকাবাসী ব্যানারে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সন্ত্রাসীদের খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ সকল অপকর্ম বন্ধ করে এলাকার জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে দায়েকৃত  মামলা প্রত্যাহারসহ ৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে।

এছাড়া আগামী ১২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবরাবরে  স্মারকলিপি প্রদান ও ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে রোববার দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নানিয়ারচর এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নানিয়াচর সদর ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতি লাল চাকমা।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলা হয়, গত বছর ১৬ নভেম্বর  থেকে তথাকথিত গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ নামধারী বহু মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত ফেরারী আসামীসহ সশস্ত্র একদল সন্ত্রাসী একটি বিশেষ শক্তিশালী মহলের ছত্রছায়ায় রহস্য জনক পন্থায় নানিয়াচরের দৃশ্য পটে আভির্ভূত হয়। সেইদিন থেকে আজ অবধি উক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্বিচারে খুন, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অবর্ণনীয় সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের কারণে পুরো নানিয়াচর এলাকা এক নৈরাজ্যকর ও আতঙ্কজনক জনপদে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এলাকার মানুষ অফিস, আদালত, হাট-বাজার থেকে শুরু করে কোথাও নিরাপদে ও নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে পারছেন না।

এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আরো বলা হয়, সন্ত্রাসীদের খুন, অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা লাগামহীনভাবে ঘটে চললেও উক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে প্রশাসন সম্পূর্ণ রহস্যজনকভাবে নির্বিকার রয়েছে এবং এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কোন নিরাপত্তাবাহিনীকেই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের তৎপরতা চোখে পড়ছেনা। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এখানকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত একটি বিশেষ মহল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘টুশব্দ’ করার যেন কেউ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের দ্বারা খুন, অপহরণের একটি চিত্র ও তুলে ধরা হয়। এতে গত বছর নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নানিয়াচরে উপজেলায় জনপ্রতিনিধি-মুরুব্বীসহ ৫০ জনের অধিক মানুষ অপহরণ ও ৫ জনের অধিক খুন হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।


সংবাদ সম্মেলন থেকে চার দফঅ দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হচ্ছে - ১.অবিলম্বে নানিয়াচর এলাকায় খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা বন্ধ করে এলাকার জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,  ২. নানিয়াচর বাজারে অবস্থানরত বিভিন্ন মামলার আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক উক্ত সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা, ৩. নানিয়াচর উপজেলার ৪(চার) ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন নির্বাচিতজন প্রতিনিধিদের নামে বিভিন্ন ঘটনায় জড়িয়ে দায়েরকৃত  মামলা প্রত্যাহার করা, এবং  ৪। সাবেক ইউপি সদস্য অনাদি রঞ্জন চাকমা হত্যা ও আলোচিত মন্টি-দয়াসোনা চাকমার অপহরণসহ নানিয়াচর উপজেলায় এযাবৎ সংঘটিত সকল হত্যা ও অপহরণ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরোউপস্থিত ছিলেন সাবেক্ষ্যংইউপি চেয়ারম্যান সুপন চাকমা, বুড়িঘাট ইউপি চেয়ারম্যান প্রমোদ বিকাশ খীসা, ঘিলাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান অমল কান্তি চাকমা, নানিয়াচর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কমেন্দু চাকমা, বড়পুলপাড়ার মুরুব্বী উদয় শংকর কার্বারী, সাপমারা গ্রামের মুরুব্বী সঞ্চয় চাকমা, জগনাতুলি গ্রামের মুরুব্বী মিন্টু চাকমা, নানিয়াচর সদর ইউপি সদস্য বাবুল চাকমা ও সাবেক্ষ্যং ইউপি সদস্য জীবন আলো চাকমা।


নানিয়াচর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কমেন্দু চাকমা প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions