প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার, স্বপ্ননীড়ে উঠেছে ১০ পরিবার

প্রকাশঃ ১৬ জুলাই, ২০২১ ০৭:১৮:২৯ | আপডেটঃ ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:১৩:৪৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া ইউনিয়নের নমিতা চাকমা। এক সন্তানের জনক। তার স্বামী বহু বছর আগেই ফেলে চলে গেছেন। কোন খোঁজ-খবর রাখে না। নমিতা চাকমার কোন ঘর-বাড়ি ছিল না। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকমে সংসার চলে তার। স্বপ্ননীড়ে আশ্রয় পেয়ে পেয়ে তিনি আবেগাপ্লুত। সারা জীবন সংসারে শ্রম বিক্রি করে করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। পাকাবাড়ী বানানোর চিন্তা কোনদিন করেননি। তাই বিনামূল্যে জমি ও সেমিপাকা রঙ্গিন টিনসেড ঘর পেয়ে তিনি খুবই খুশি।

শুধু নমিতা চাকমাই নয়, জুরাছড়ি ইউনিয়নের মধ্য বালুখালী গ্রামের শারিরীক প্রতিবন্ধি লক্ষিন্দ্র চাকমা। ছোট্ট ভাঙ্গা কুটিরে বসবাস তার। একটু বৃষ্টি হলেই ভিজে যায় পরো ঘরের ভিতর। মাছ শিকার করে কোন রকমে সংসার চলে তার। নেই কোন খন্ড জমি-জমা। অভাবের সংসারে কোন দিন সেমিপাকা ঘর বানানোর চিন্তা করেনি সে। বিনামূল্যে জমি ও সেমিপাকা রঙ্গিন টিনসেড ঘর পেয়ে তিনিও খুবই খুশি। সুন্দর ঘর পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

শুধুই নমিতা চাকমা কিংবা প্রতিবন্ধী লক্ষিন্দ্র চাকমা নয়, জুরাছড়ি ইউনিয়নের ডেবাছড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত (প্রতিবন্ধী) প্রমাঞ্জলী চাকমা, কুসুমছড়ির বিধাব মনিষা চাকমা, ঘিলাতলীর হতদরিদ্র দিন মজুর ভাগ্য কুমার চাকমা, সূধন্য চাকমা। বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ধামাই পাড়ার  হতদরিদ্র শেফালিকা চাকমা, কাংড়াছড়ির হত দরিদ্র দিন মজুর পরিন্দ্র চাকমা, ধনেশ^র চাকমা, ডেবাছড়ির ইন্দ্র নাথ চাকমা মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের আওয়াতায় নতুন ঘর পেয়েছে। তারা সবাই নতুন ঘরে উঠেছে। সৌর আলোয় রাতে জলমল করে এসব ঘর। সৌর আলোয় নিবিগ্নে পড়াশোনা করছে তাদের ছেলে মেয়েরা। আবার ঘরের মেয়েরা রাতের অবসর সময়ে অনেকেই কমড় তাঁত বুনন করছে।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওয়াতায় উপজেলায় সেমিপাকা রঙ্গিন টিন সেড ঘর পেয়েছেন ১০ হত দরিদ্র পরিবার। তারা এখন সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার স্বপ্ননীড়ে উঠেছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্ত তর্পন ওেয়ান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, প্রতিটি ঘর ২শতক জমি নিয়ে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা রঙিন টিনসেডের ১০টি নির্মান করা হয়। তার মধ্যে জুরাছড়ি ইউনিয়নের ৫টি, বনযোগীছড়া ইউনিয়নে ৫টি। এসব ঘরে সংযোগ রাস্তা, বৈদ্যুতিক সংযোগ ও নলকূপ স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে।



সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions