টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে : অংসুইপ্রু চৌধুরী

প্রকাশঃ ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০৯:৩৩:১৩ | আপডেটঃ ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১১:০২:৩৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সাসটেইনেবল ডেভালাপমেন্ট গোল বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জেলার সকল সরকারি বিভাগকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। গ্রাম, ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা খোঁজ নিলে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। মিলেনিয়াম ডেভালাপমেন্ট গোল বাস্তবায়নে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। বিদেশীদের এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বেড়িয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে। স্যানিটেশান কার্যক্রম বাস্তবায়নে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। আমাদের সাফল্য বেশি। এসব সম্ভব হয়েছে সরকারি মেশিনারীর আন্তরিকতা ও জনগণের একান্ত আগ্রহ এবং প্রচেষ্টায়। তিনি বলেন, যেকোন দুর্বল বিষয়ে সকলে মিলে একত্রে কাজ করলে সাফল্য অর্জন হয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে তিন পার্বত্য জেলার দুর্গমতা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলেও আমাদের প্রচেষ্টা আন্তরিক হলে আমরা সে বাঁধা অনায়াসে অতিক্রম করতে পারবো। স্ব স্ব বিভাগ স্ব স্ব কার্যক্রম সঠিকভাবে করলে এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে (এনেক্স ভবন) অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, জেলায় কিছুটা নারী নির্যাতনের হার বাড়লেও সার্বিক অর্থে অন্য জেলার তুলনায় অপরাধের মাত্রা কম। যেকোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটনে কোন তথ্য থাকলে তা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।

রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসীন বলেন, রাঙামাটি সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে অগ্নিকান্ড ঘটলে তা নির্বাপনে কোন ব্যবস্থা নেই। পানিপথে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা থাকলে উপজেলার মানুষ উপকার পেতো। তিনি রাঙামাটির মানিকছড়ি থেকে কুতুকছড়ি পর্যন্ত সড়কে সোলার লাইট স্থাপনের প্রস্তাব রাখেন সভায়।
    
রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ মামুন, সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসীন, জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, বরকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা, লংগদু উপজেলা পরিষেদ চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, নানিয়ারচর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আছমা আক্তার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নীতিশ চাকমা, রাঙামাটি সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তুষার কান্তি বড়–য়া, আনসার ও ভিডিপি কমানডেন্ট অজিত কুমার চাকমা, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়–য়া, গণপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম দ. বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা অমিত কুমার দত্ত, ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভােেগর বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিআরডিবির উপপরিচালক সুপ্রভা চাকমা, বিসিক জেলা কর্মকর্তা মোঃ মুনতাসীর মামুন, জেলা সমবায় কর্মকর্তা ইউসুফ হাসান চৌধুরী, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ নূরউজ্জামান, বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী যতœ মানিক চাকমা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দোলন দেব, পর্যটন হলিেেড ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা অর্চনা চাকমা, মৃত্তিকা সম্পদ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা উষালয় চাকমা, তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র চাকমা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী, ডিপিএমজি অফিস পরিদর্শক রাজীব চৌধুরী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি শামীম আরা চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী খোরশেদ আলম, টিটিসি রাঙামাটি প্রকৌশলী মোঃ জাফর খান, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কর্মকর্তা নীহার কান্তি খীসা, জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক কৃপাময় চাকমা, ইউএনডিপির জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ^র্য চাকমা, সোনালী ব্যাংক এসপিও প্রেেহলিকা ত্রিপুরা, জেলা সমাজসেবা পরিচালক বিশ^জিৎ চাকমা, প্রতিবন্ধি বিষয়ক কর্মকর্তা অমর চান চাকমা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিমি চাকমা, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিমল কান্তি চাকমা, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের মোঃ ইসমাইল হক, বিটিসিএল কর্মকর্তা বারণ চাকমা, বাজারফান্ডের অসিত কুমার চাকমা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ বিভাগের মোঃ আাদিল উজ জামান, এলজিইডির উপসহকারি উজ্জল কান্তি দেওয়ান, বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি শিখা ত্রিপুরা, জেলা হেডম্যান এসোসিয়েশনের থোয়াই অং মারমা এবং সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের প্রতিনিধি বকুল বিকাশ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।


সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions