প্রকাশঃ ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০১:০০:২৬
| আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০:৪২
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের লামায় ৬ দাবিতে মানববন্ধন করেছে তামাক চাষী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় লামা উপজেলা পরিষদের প্রধান সড়কে আধাঘন্টা ব্যাপী প্রায় তিন শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় শ্রমিক লীগ লামা পৌর শাখার সভাপতি আবুল বাশার এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত থেকে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারিস হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গফুর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সদস্য এস.এম মোস্তাকিম জনিসহ বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন এর নেতাকর্মী ও লামা উপজেলার তামাক চাষী ব্যবসায়ীরা।
এসময় বক্তারা বলেন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এখানে অন্য ফসলের ফলন ভালো হয় না, ফলে অনেকে তামাক চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তামাক ব্যবহার হয়ে থাকে কেবল দেশীয় বিড়ি শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে। বিড়ির উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত করারোপের ফলে বিড়ি কারখানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিড়ি শিল্পের এই অবস্থার কারণে উৎপাতি তামাক বিক্রয় বন্ধ হয়ে পড়েছে। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হাজার হাজার তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীরা, ফলে পার্বত্য অঞ্চলের তামাক চাষীরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে, যা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এসময় বক্তারা আরো বলেন , এই এলাকার মানুষের অন্য কোনো আয়ের পথ না থাকায় দেখা দিচ্ছে অভাব-অনটন। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে ৪ টাকা মূল্য বৃদ্ধি করে বিড়ির সাথে তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীদের স্বমূলে ধ্বংস করার আরেকটি কৌশল অবলম্বন করেছে ,এতে তামাক চাষীরা হাজার হাজার টন তামাক বিক্রি ও ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য ৬টি দাবি আমাদের।
দাবিসমূহ হল,তামাক চাষীদের তামাক পাতা বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দিতে হবে,তামাক চাষীদের তামাক পাতা বিক্রয়ের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির উপর বৃদ্ধিকৃত অতিরিক্ত ৪ টাকা মূল্যস্তর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে, বিড়ির উপর অর্পিত ১০% অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে, বিড়ির শুল্ক কমিয়ে তামাক পাতার ন্যয্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, বঙ্গবন্ধুর আমলে তামাকের যেই ন্যায্য মূল্য ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও তামাকের সেই ন্যায্য মূল্য যাতে নিশ্চিত হয়।