কাপ্তাইয়ে কেপিএম এমডির বিরুদ্ধে সিবিএ নেতৃবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ০৩ অক্টোবর, ২০২০ ১০:১৯:০৮ | আপডেটঃ ১৪ মে, ২০২৪ ০২:১০:২৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, কাপ্তাই (রাঙামাটি)। দেশের রাষ্ট্রয়াত্ব একমাত্র কাগজ কল ‘কর্ণফুলী পেপার মিল লিমিটেড’ (কেপিএম) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম এম এ কাদেরের বিরুদ্ধে আবারও সংবাদ সম্মেলন করেছে কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী পরিষদের (সিবিএ)। গণমাধ্যমে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কেপিএমের বর্তমান পরিস্থিতি ও শ্রমিক কর্মচারিদের নিয়ে অসত্য এবং মনগড়া দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এমডির বিরুদ্ধে শনিবার (৩ অক্টোবর) সকালে কাপ্তাই প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কেপিএম সিবিএ সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেপিএমের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু সহ আরও নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমে কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম এম এ কাদের সিবিএ নেতৃবৃন্দের নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেন যা বাস্তব সম্মত নয়। তার এ বক্তব্যে কেপিএমের সকল স্থায়ী এবং অস্থায়ী শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য এবং মনগড়া।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এই এমডি কেপিএমের যোগদানের পর হতে কেপিএমকে একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কাল নিরবিচ্ছিন্নভাবে জাতীয় চাহিদার সিংহভাগ কাগজের যোগান দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এশিয়ার বৃহত্তম কাগজ কলের মর্যাদা অর্জন করে, কিন্তু বর্তমানে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং চরম স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ভয়াবহ সঙ্কটের কবলে পড়ে এই প্রতিষ্ঠানটি। ফলে এই কারখানার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত লক্ষাধিক পাহাড়ি-বাঙালি মানুষের জীবন-জীবিকা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও জানান, কেপিএমের কাগজের মান আগের তুলনায় অনেক খারাপ হওয়ায় শিক্ষাবোর্ড সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এই কাগজ কেউ কিনছে না। ফলে উৎপাদিত ৩০০০ টনেরও বেশি কাগজ জমা পড়ে আছে। ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদামত সরবরাহ করতে না পারা এবং সরবরাহকৃত কাগজের মানের সমস্যা হওয়ায় কেপিএমের সুনাম নষ্ট হওয়ার ফলে এখন কাগজ বাজার ব্যক্তি মালিকানাধীন কাগজগুলোর হাতে চলে যায়। নিজস্ব পাল্প উৎপাদনের জন্য ২০১৬-১৭ সালে ক্রয় কৃত চিপস দিয়ে পাল্প উৎপাদন না করার কারণে কয়েক হাজার মেট্রিকটন চিপস ক্রমান্নয়ে পঁচে যাচ্ছে। অস্থায়ী শ্রমিকদের মাসে ২৬ থেকে ৩০দিন কাজ করিয়ে ১৫থেকে ২০ দিনের হাজিরার মজুরি প্রদান করা হচ্ছে। শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের কোটি টাকা বেতন ভাতা প্রদান করে কারখানার উৎপাদন কাজ ব্যতিত অফিস সময়ে তিনি সকলকে বৃক্ষরোপণ কাজে নিয়োজিত রেখেছেন। তারা সকলেই এই এমডির দ্রুত অপসারণ করে এই মিলকে আবারও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions