দুমদুম্যায় খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ত্রাণ সহায়তা বিতরণ

প্রকাশঃ ১৮ অগাস্ট, ২০২০ ০৬:৩৫:২৩ | আপডেটঃ ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:২৮:১৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। জুরাছড়ি উপজেলায় দুমদুম্যা ইউনিয়নে করোনায় সৃষ্ট্য খাদ্য সংকট মোকাবেলাই এবার এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি খাদ্য সামগ্রী, স্বাস্থ্য উপকরন, শাক-সবজির বীজ এবং সচেতনতা মূলক পোষ্টার পৌছে দেওয়া হয়েছে।  

সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘‘ ষ্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি” প্রকল্পের আওয়াতায় এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে বগাখালী এলাকায় এসব বিতরন করা হয়।  

সপ্তাহ ধরে নৌ পথে রোদ-বৃষ্টি অতিক্রান্ত করে গেল ১৪ ও ১৫ আগস্ট দুমদুম্যা ইউনিয়নের বগাখালী বাজারেচার ওয়ার্ডের ২৫৪ জন পরিবারে মাঝে এসব সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয় সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য সাপ নেম পাংখোর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধান কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সিসিআরপি প্রকল্পের কমিউনিটি অর্গানাইজার সুমন্ত চাকমা, এফএফএসের উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর বাবুল চাকমা, এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপির ভলেন্টিয়ার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

দুমদুম্যা ইউনিয়নের গন্ডাছড়ার প্রিজোয়ান, এলম পাংখোয়া, রাগন চান তংঞ্চঙ্গ্যা জানান জুমে ধান উঠতে আরো এক-দেড় মাস সময় লাগবে। করোনায় সংকটে কখনো জংগলের আলো, আবার কখনো জংগলের সবজি খেয়ে কোন মতে বেচেঁ আছি। বাচ্চারা বার বার ভাত খুজে-তখন খুবই অসহায় হয়ে পরি। এই সহায়তা পেয়ে আমার অনেক খুশি। ছেলে-মেয়ে মিলে দু-এক বেলা পেটভরে খেতে পারবো। অনেকে খুশিতে কেঁদে পেলে। তারা সংকট মোকাবেলায় আরো সহযোগীতার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা বলেন, প্রান্তিক দুমদুম্যাবাসীদের খাদ্য সংকট মোকাবেলাই সরকার ও উন্নয়ন সংস্থা এগিয়ে আসাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে সব চেয়ে দুর্গম হচ্ছে দুমদুম্যা। তার মধ্যে ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড আরো দুর্গম। এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি খাদ্য সামগ্রী, স্বাস্থ্য উপকরন, শাক-সবজির বীজ এবং সচেতনতা মূলক পোষ্টার যাথাযথ পৌছে দিতে পেরে এলাকায় অনেক সহায়ক হয়েছে।

উল্লেখ্যে এই প্রকল্পের আওয়াতায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions