করোনা ভাইরাসের দুর্ভোগে বিপাকে বেসরকারি ও কিন্ডার গার্টেন শিক্ষকরা,মানবিক সহায়তা দাবি

প্রকাশঃ ২০ মে, ২০২০ ০৬:৩১:১২ | আপডেটঃ ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০৮:০০:৩৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়িতে করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে বেসরকারি শিক্ষকরা । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়   শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ভাতা বন্ধ  রয়েছে। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়  ননএমপিও স্কুল.মাদ্রাসা ও কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন মাস ধরে বেতন বন্ধ ।  সামাজিক মর্যাদার কারণে অনেক শিক্ষক ত্রাণ নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে পারছে না।  এই অবস্থায় তিন পার্বত্য জেলার ৬ হাজার শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জন্য বিশেষ প্রনোদনা প্যাকেজ দাবি করেছে সংশ্লিষ্টরা।

বেসরকাকি শিক্ষক সমিতি সূত্রে খাগড়াছড়ি,রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় এমপিও, ননএমপিও স্কুল,মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্ডেনের সংখ্যা প্রায় ৮ শতাধিক।   শিক্ষকতার পেশায় জড়িত রয়েছে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী। করোনা ভাইরাসের কারণে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে সরকার। প্রায় তিন মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে শিক্ষক ,কর্মকর্তা –কর্মচারীরা।

ননএমপিও স্কুল ও কিন্ডার গার্ডেনের আয়ের উৎস শিক্ষার্থী বেতন ও পরীক্ষা ফি।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়  বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের ফি আদায় । এতে আয়ের বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন ভাতা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।  বিদ্যালয়ের তহবিলেও অর্থ সংকট থাকায় বন্ধকালীন সময়ে কোন সহায়তা করছে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করোনকালে সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও শিক্ষকদের সামাজিক মর্যদার কারণে অনেকে ত্রাণের জন্যও লাইনে দাঁড়াতে পারছে না শিক্ষকরা।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মাইনী কিন্ডার গার্টেন এর প্রধান শিক্ষক জেসমিন চৌধুরী জানান‘‘  তিন মাস ধরে শিক্ষার্থীদের বেতন ভাতা আদায় বন্ধ রয়েছে । আয় না থাকায় বেসরকারি শিক্ষক ও কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষকদের বেতন ভাতা সর্র্ম্পূণ বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থা শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেকে ত্রাণ সহায়তাও পাচ্ছে না । বিশেষ করে সামাজিক মর্যদার কারণে অনেকেই  ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়াতে পারছে না। ’’

অনেক বেসরকারি শিক্ষকরা পান না পাহাড়ি ভাতা ।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক ভাতা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।  বেতন ফেলেও তা পর্যাপ্ত নয় । এই অবস্থা পাহাড়ের শিক্ষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রনোদনা প্যাকেজ দাবি করেছে শিক্ষকরা।

,বেসরকারি শিক্ষক সমিতির তিন পার্বত্য জেলার প্রধান সমন্বয়ক উষ্মাআলো চাকমা তিনি পার্বত্য জেলায় ৮ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ হাজার শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। পাহাড়ের শিক্ষকদের পাহাড়ি ভাতা বন্ধ ,আবার অনেকে বেতন ভাতা পাচ্ছে না।  করোনার কারণে প্রায়  অবস্থা মানবেতর দিন পার করছে অনেকে।’

জেলায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেতন না প্ওায়ায় মানবেতর জীবন করে বলে স্বীকার করে যমানবিক কারণে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাধন কুমার চাকমা জানান ‘‘জেলায় বেশীর ভাগ প্রতিষ্ঠান এখনো ননএমপিও ।তাদের বেতন ভাতা বন্ধ । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই দুর্যোগে মানবিক কারণে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। ’

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions