প্রকাশঃ ০৯ জুন, ২০১৮ ০৯:০৫:৪৯
| আপডেটঃ ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:০৬:৩৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আইনি সংক্রান্ত জটিলতাসহ সব ধরনের বৈষম্য দূর করে পাহাড়ে নারীর অধিকার নিশ্চিত করার আহবান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথাগত ও প্রাতিষ্ঠানিক আইনে নারীর প্রতি যে বৈষম্য রয়েছে তা সংশোধন করে সংবিধিবদ্ধভাবে সংস্কার করতে হবে।
শনিবার রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত ‘প্রথাগত ও প্রাতিষ্ঠানিক আইনে নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ’ শীর্ষক এক প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা বলা হয়। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ ও স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ‘প্রোগ্রেসিভ’ যৌথভাবে এ প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করে।
সকাল ১১টায় শহরের নিউ মার্কেটের আশিকা হলে প্রোগ্রেসিভ’এর নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, নারীনেত্রী টুকু তালুকদার, আইনজীবী সুস্মিতা চাকমা ও প্রথাগত নেতৃত্বের প্রতিনিধি হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) থোয়াই অং মারমা প্রমুখ।
সাবেক মানবাধিকার সদস্য নিরূপা দেওয়ান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীরা সব সময় বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এখানে নারীর প্রতি চলে আসছে সহিংসতা। নারীর অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা নেই সরকারের। নারীর উন্নয়নে সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে নারীর কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। তিনি পার্বত্য নারীদের অধিকার নিশ্চিত ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
নারীনেত্রী টুকু তালুকদার বলেন, দীর্ঘ দাবির মুখে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির আলোকে প্রবর্তিত তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদে নারীর আসন সংরক্ষণ করলেও সাধারণ পদে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়নি। অথচ আইনে কোথাও নেই যে, এসব পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্য পুরুষ হতে হবে।
হেডম্যান থোয়াই অং মারমা বলেন, প্রথাগত সমাজব্যবস্থায় পাহাড়িদের বিবাহ বন্ধনের নিবন্ধন চালু ছিল না। এতে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতো। রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের নির্দেশনায় বর্তমানে রাঙামাটি চাকমা সার্কেলের প্রতিটি মৌজার হেডম্যান আদালতে বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রম প্রচলন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি নারীদের উন্নয়নে ক্ষমতায়ন, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, পুনর্বাসন, পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমান মজুরি নিশ্চিত করাসহ ৯ দফা সুপারিশমালা সরকারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।