পাহাড়ে শেষ হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসব

প্রকাশঃ ১৫ জানুয়ারী, ২০২০ ১০:১০:০৬ | আপডেটঃ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:৩০:১৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পাঁচ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসব-২০২০ শেষ হয়েছে। শনিবার জেলার কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলি কলেজ প্রাঙ্গণে উৎসবটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।

বুধবার সন্ধ্যায় কাপ্তাই হ্রদে ফানুস উত্তোলণ ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় উৎসবটির আয়োজন করে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটির প্রধান কার্যালয় ভবনের মিলনায়তনে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী ও সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম, রাঙামাটি ৩০৫ পদাতিক বিগ্রেডের ব্রিগেড কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাইনুর রহমান, ভারতের বিশিষ্ট নাগরিক রাম এস ভার্মা, বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জহির প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এ ছাড়া সকালে রাঙ্গামাটির উচু পাহাড় ‘ফুরোমোন’ ট্রেকিং অভিযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সমাপণী অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় কাপ্তাই হ্রদে ফানুস উত্তোলণ ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের সমাপ্ত হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে এ ধরনের উৎসব গোটা জাতিকে উদ্বেলিত করার পাশাপাশি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করতে অনন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। একই সঙ্গে এ ধরনের অনুষ্ঠান পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটন বিকাশ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ মাউন্টেইন বাইক, কায়াকিং, ক্যানিওনিং, কেড ডিসকভারি, হাইকিং, ট্রেইল রান, রোপ কোর্স, টিম বিল্ডিং, টি ট্রেইল হাইকিং, সেইলিং বোটসহ বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়ার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি দেশের অ্যাডভেঞ্চার ও পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার প্রসার ও বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উৎসবে বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রমে ১০০ অ্যাযভেঞ্চারার অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে ছিলেন- পার্বত্য এলাকা থেকে ৩১ জন, দেশের অন্য এলাকার ৫৩ জন এবং ১৬ বিদেশী।



সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions