জুরাছড়িতে শান্তি চুক্তির ২২ বছর পালন

প্রকাশঃ ০২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৫:৪৯:৫৭ | আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০৫:১৭:০৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে পরিমান উন্নয়ন কাজ হয়েছে শান্তি চুক্তির আগে তা হয়নি। শান্তি চুক্তিতে বিভিন্ন পর্যায় প্রায় ৭২টি বিষয় ছিল। যার মধ্যে  ৪৮টি ধারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে, ১৫টি  আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৯টি বিষয় বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জুরাছড়ি উপজেলায় পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারন ও সেনা জোনের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুরাছড়ি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট  কর্ণেল মোঃ তানভীর হোসেন একথা বলেন।

আলোচনা সভায় ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমার ধারা চঞ্চালনায় কুসুমছড়ি মৌজার হেডম্যান মায়া নন্দ দেওয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট  কর্ণেল মোঃ তানভীর হোসেন পিএসসি, বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমা, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান শান্তি রাজ চাকমাসহ সেনা বাহিনীর পদস্থ্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় জোন অধিনায়ক আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির ফলে বর্তমান সরকার পার্বত্য এলাকাবাসীর জন্য আলাদা পার্বত্য মন্ত্রনালয় গঠন করেছেন। যাতে করে পাহাড়ের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য এই মন্ত্রনায় কাজ করতে পারে।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা পার্বত্য শান্তি চুক্তির অবাস্তবায়িত ধারা গুলো যথাযথ ভেবে পুনাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকারের কাছে দাবী জানান।

উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা পার্বত্য মন্ত্রনালয়, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য অঞ্চলিক পরিষদের সমন্বয়হীনতার কারনে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়নে এগিয়ে যেতে পারেননা বলে অভিযোগ করেন।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions