স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করতে না পারাটা আমাদের অনেকটা ব্যর্থতা: দীপংকর তালুকদার এমপি

প্রকাশঃ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১১:৩১:০৭ | আপডেটঃ ০৫ মে, ২০২৪ ০১:২৮:০২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, আমরা রাঙামাটিবাসী বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে আছি। রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে নানা প্রতিকূলতায় পড়তে হয়েছে। তার মধ্যে রাঙামাটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের কাজ চলছে। অন্যদিকে মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় আন্দোলন করছে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে।  রাঙামাটি পাবলিক কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হলেও  সেখানেও কিছু প্রতিকূলতা রয়েছে। নিজস্ব ভবন এখনো নির্মান করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, আমার অনেক শুভাকাঙ্খি ফোনে বলেন, দীপংকর তালুকদার ব্যর্থ। মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ৫বছর কিন্তু এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মান করা হলো না। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের চলছে ৫বছর এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ সম্পূর্ণ হলো না। আমরা এই ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলি, এই মেডিকেল কলেজ ও রাঙামাটি পাবলিক কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস যাতে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে হয় তার প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আমরা স্বপ্ন দেখছি জেগে জেগে, যে স্বপ্নের কারণে আমরা ঘুমাতে পারছি না। পাবলিক কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস হবে, কলেজটি এমপিওভুক্ত হবে। এইসব স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘুমাতে পারছি না। আমরা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছি।  অনেকে তুচ্ছ করে, ব্যঙ্গ করে রাঙামাটি পাবলিক কলেজ নিয়ে। একদিন সময় আসবে এই কলেজকে নিয়ে মানুষ অহংকার করবে। আমরা  এই ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।

রাঙামাটি পাবলিক কলেজের প্রথম পুর্নমিলনী ২০১৯ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে পুর্নমিলনীর উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত সচিব ও রাঙামাটি সাবেক জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী পরিষদের যুগ্ম সচিব ও সাবেক রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ শামসুল আরেফিন, রাঙামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবীর।


দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, রাঙামাটি পাবলিক কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুরু করেছিলেন, রাঙামাটির সাবেক জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল। মোস্তফা কামালের বিদায়ের পর রাঙামাটিতে আরো ৩জন ডিসির আগমন ঘটেছে। সবাই আন্তরিক ছিলেন রাঙামাটিবাসীর প্রতি। মানুষ হিসেবে সবাই ভিন্ন ছিলো কিন্তু রাঙামাটি পাবলিক কলেজ নিয়ে সবার চিন্তা, চেতনা, আদর্শ এক ছিলো। আমরা রাঙামাটিবাসী বর্তমান জেলা প্রশাসকসহ সাবেক জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি।

আজকের এই পূণর্মিলনী শুধু মাত্র রাঙামাটি পাবলিক কলেজের নয়, এটি রাঙামাটি বাসীর পূণর্মিলনী।


সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions