রাঙামাটি হাঁস খামারের দুর্নীতি ঘটনায় তদন্ত কমিটির খামার পরিদর্শন

প্রকাশঃ ০৪ অগাস্ট, ২০১৯ ১২:০৪:৪২ | আপডেটঃ ০৪ মে, ২০২৪ ১২:১৬:৫১
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি সরকারী হাঁস প্রজনন খামারের দুর্নীতির খবর ইনডিপেনডেন্ট টিভিতে  প্রচারের পর গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার রাঙামাটিতে এসে খামার পরিদর্শন করেছেন এবং খামারের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন।

সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড় টা পর্যন্ত রাঙামাটি জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের আঞ্চলিক হাঁস মুরগী খামারের উপ পরিচালক জাকের উল্লাহ সবার সাথে কথা বলেন এবং গোপন লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে হাঁস খামার এলাকার মধ্যে কোথাও দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন জাকের উল্লাহ। ডিএলও অফিসের একজন বলেন, কথা বলা শেষে স্যারের বাসায় ওরা দুপুরের খাবার খেতে গেছেন। অপেক্ষা করেন আসবে।

তবে মোবাইলে তদন্তের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি জাকের উল্লাহ। তিনি বলেন, তদন্তের ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার জন্য উপরের অনুমতি নেই।

এদিকে হাঁস খামারের একাধিক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা লিখিত জবানবন্দি দিয়েছেন। খামারের বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে তাঁরা লিখেছেন।

হাঁস ক্রেতা প্রতিময় চাকমা বলেন, তদন্তে আমি উপস্থিত ছিলাম। কাগজে লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। তা লিখে দিয়ে এসেছি। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুর্নীতির খবর টিভিতে প্রকাশ হওয়ায় বেশ ভাল হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ১৯ জুলাই সরকারী ছুটির দিনে সকাল বেলা “রাঙামাটি হাস খামারে বেশী দামে হাঁস বিক্রি নিয়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে অনুসন্ধানমুলক সংবাদ প্রচার হয়।

 এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়। সংবাদ প্রচারের পর পরই অভিযুক্ত হাঁস খামারের হিসাব রক্ষক নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

হাঁস খামারের একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করে প্রতিবেদককে বলেন, নজরুলকে লোক দেখানো অব্যাহতি দিয়েছে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা  (ডিএলও) ও হাঁস খামারের অতিরিক্ত দায়িত্বে নেওয়া ব্যবস্থাপক বরুন কুমার দত্ত।

ডিএলওর আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে হিসাব রক্ষক নজরুল খামারকে ধংসের ধারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছিল। এক কর্মচারী বলেন, যেদিন খামারের দুর্নীতির চিত্র ধারণ করা হয় সেদিন শুধু হাঁস বিক্রি হয়নি, খামারের ভিতরে ৫টি বড় বড় গাছ বিক্রি করা হয়। যেগুলো সরকারী সম্পদ। এগুলো কাটার আগে কারোর অনুমতি নেয়া হয়নি ও নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। সেদিনই ক্রেতাা গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। গাছগুলো কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএলও বরুন কুমার দত্ত। সেসব গাছের গোড়াগুলো এখনো রয়ে গেছে। কিন্তু এগুলো কোনটিই অফিসের রেজিস্টারে লিখা হয়নি।

অভিযোগ আছে দীর্ঘদিন ধরে খামারের বেশী দামে হাঁসের ডিম, বাচ্চা, হাঁস বিক্রি করা হয়। প্রকৃত খামারীর কাছে এসব বিক্রি না করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হত। খামারের উৎপাদন কম দেখিয়ে বাড়তি ডিম, বাচ্চা, হাঁস বিক্রি করে টাকাগুলো সরকারী কোষাগারে জমা না করে পকেটে নেওয়া হত।

ডিএলও বরুন কুমার দত্ত বলেন, জাকের উল্লাহ সহ মোট দুজন রাঙামাটিতে এসে তদন্ত করেছেন। তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবে না।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions