২১০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয় করণের গেজেট প্রকাশের দাবি

প্রকাশঃ ০৮ জুন, ২০১৯ ০৪:৩২:০৫ | আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:১২:৪৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। তিন পার্বত্য জেলায় ইউএনডিপি সিএইচটিডিএফ পরিচালিত মৌলিক শিক্ষাদান প্রকল্পের সহায়তায় চালু হওয়ায় ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়  জাতীয়করন করা হলেও শিক্ষকদের চাকুরির গেজেট প্রকাশ না করায় দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষকরা।

শনিবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিন পার্বত্য জেলায় ইউএনডিপি সিএইচটিডিএফ পরিচালিত ২০১টি বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির আহবায়ক ও বিলাইছড়ি উপজেলার জামুছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরুন কুমার তনচঙ্গ্যা, সদস্য সচিব খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলার আলুটিলা পুর্নবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশান্ত ত্রিপুরা, সদস্য ও বান্দরবানের রুমা উপজেলার চংলক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উচহাই মার্মা ও রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার ছাবোছড়া তাত খাইট্টা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক  সুতিল কুমার তংচঙ্গ্যা ও ঘ্যাংদয় পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল বিশ্বাস।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষা নীতি প্রণয়নসহ অনেক  ব্যাপক উন্নয়ন সংস্কার সাধন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সনের ২০ ফেব্রুয়ারী  ইউনডিপি পরিচালিত ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। দীর্ঘ ২ বছরেরও অধিক সময় হয়ে গেলেও এসকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৮৪০জন শিক্ষকের চাকুরি এখনো জাতীয়করন করা হয়নি। ইউনিডিপির অর্থায়নে পরিচালিত স্কুলগুলোকে ইউএনডিপি ২০০৯ সন হতে ২০১৪ সন পর্যন্ত বেতন ভাতা চালু রেখেছিল, প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যায়, গত ২ বছর ধরে শিক্ষকরা প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে পাঠদান করলেও চাকুরি জাতীয়করন না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে চাকুরি জাতীয় করনের গেজেট অবিলম্বে প্রকাশে দাবি জানানো হয়।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions