ময়না তদন্ত শেষে নিহত ২জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশঃ ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০৮:৩০:২৭ | আপডেটঃ ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৫৩:৫০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। গতকাল সোমবার বিকালে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের রাইখালীর কারিগরপাড়া দুর্বৃত্তদের ব্রাশ ফায়ারে নিহত জেএসএস সংস্কারের কর্মী মংসনু মারমা (৪৫) এবং ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদ হোসেন (২৫) এর লাশ আজ সকালে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়। দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে লাশ পুলিশ চন্দ্রঘোনার উদ্দ্যেশে নিয়ে যায়। মরদেহের সাথে জাহেদের বড় ভাই আসলেও মংসনু মারমার পরিবারের কেউ আসেনি। জাহিদ হোসেন মুলত চট্টগ্রাম থাকেন, কয়দিন আগে রাইখালীতে বেড়াতে আসেন, তারা ভাই বোন ৪জন। জাহিদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল।  অন্যদিকে মংসনু মারমা এক সময় ইউপিডিএফ করলেও বেশ কিছুদিন ধরে জেএসএস সংস্কারের সাথে যুক্ত হয়েছেন। তিনি দুটি সন্তানের জনক।

এই ঘটনায় তদন্ত করে বিচার করার দাবি জানিয়েছেন নিহত জাহিদের ভাই।

নিহতে জাহিদের ভাই প্রাথমিক শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। একটা স্বাধীন দেশে এভাবে কেউ যেন ভাই হারা না হন, মা সন্তান হারা না হয় সে জন্য সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি পাহাড়ী বাঙালী বুঝি না, কোন বাবা যেন সন্তান, কোন সন্তান যেন বাবা মা হারা না হয়, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: শওকত আকবর জানান, জাহিদের শরীরে দুটি গুলি এবং মংসনু মারমার গায়ে ৩টি গুলি লেগেছে। খুব কাছ থেকে গুলি করায় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়। 

প্রসঙ্গত: গতকাল বিকালে চন্দ্রঘোনা থানাধীন রাইখালী ইউনিয়নের কারিগন পাড়া বাজারে  জেএসএস সংস্কারের কর্মী মংসানু মারমা (৪৫) এবং ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদ হোসেন (২৫) একটি চা দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল, এসময় অর্তকিতভাবে একটি সন্ত্রাসীদল এলোপাথারি ব্রাশ ফায়ার করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়।

মুলত পাহাড়ে আঞ্চলিকদলগুলো আধিপত্যে বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের আধিপত্যে ধরে রাখতে এসব হত্যাকান্ডের মত ঘটনায়। গত সংসদ নির্বাচনের আগ থেকে মুল জেএসএস এবং মুল ইউপিডিএফ এক হয়ে গেলেও দুটি সংস্কার দল নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের পক্ষে অবস্থান। 

চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন জানান, মামলার প্রক্রিয়া চলছে পরিবার থেকে মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions