পাহাড়ের অপরাজনীতির দূরত্বে থেকে তরুণদের দক্ষ ও যোগ্য হতে হবে: জোন কমান্ডার

প্রকাশঃ ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০৬:৫১:১৬ | আপডেটঃ ০৫ মে, ২০২৪ ০৮:১২:৪২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর জোন পরিচালিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়েছে। জোনের অধীন কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া সেনাক্যাম্পে স্থাপিত ‘রিজিয়ন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার’ হতে তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে ৯৭ প্রশিক্ষণার্থীর হাতে এসব সনদপত্র তুলে দেয়া হয়।

শনিবার দুপুরে ঘাগড়া আর্মিক্যাম্প প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সনদপত্র বিতরণ করেছেন, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ান-উল ইসলাম। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অপরাজনীতি চলছে। এসব অপরাজনীতির দূরত্বে থেকে তরুণদের দক্ষ ও যোগ্য হতে হবে। যে কোনো কাজে যোগ্য হয়ে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করতে হবে। তাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর পিছিয়ে পড়ে থাকবে না। সেনাবাহিনী পাহাড়ে ভূমিধস থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়নমূলক ও জনকল্যাণ কাজে নিয়োজিত। এতে সবার আন্তরিক সহযোগিতার আহবান জানান তিনি।

জোন কমান্ডার বলেন, সেন্টারটিতে শুরুর দিকে কেবল তিনটি কম্পিউটার দিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ায় তা অনেকটা ছিল কষ্টকর। পরে রাঙ্গামাটি রিজিয়ন সদর দফতরের পৃষ্ঠপোষকতায় আরও ৯টি নতুন কম্পিউটার, একটি প্রজেক্টর ও একটি জেনারেটর কেনা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কোর্সটির তিন মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাসব্যাপী করা হবে। সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকার প্রকৃত উন্নয়নে কাজ করছে। আর অন্যরা করছে রাজনীতি।

এ সময় কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান, ঘাগড়া কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামল চাকমা, ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জগদীশ চাকমা প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া ট্রেনিং সেন্টারটির প্রশিক্ষক সাংবাদিক মেহেদী হাসান সোহাগ, প্রশিক্ষণার্থী জুই চাকমা ও আবদুল মালেক অনুভূতি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ২০ বীর ঘাগড়া ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন রাদ শাহমাত বিন ইসলাম।


অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর হতে এ পর্যন্ত ৫ ব্যাচের মোট ৯৭ কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থীকে সনদপত্র তুলে দেয়া হয়েছে। রাঙামাটি রিজিয়ন সদর দফতরের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি এ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারটি চালু করে রাঙামাটি সদর জোন। সামরিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়েপড়া পাহাড়ি-বাঙালির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বেশকিছু উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অংশে এটি পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ব্যাপক সফলতা।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions