ম্যালেরিয়া রোগ নির্মূলে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ২০ এপ্রিল, ২০১৮ ০৯:২৩:৪৩ | আপডেটঃ ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৯:৪৫:২৭
সিএইচটি টুডে ডট কম,বান্দরবান। মায়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গারা ম্যালেরিয়ার রোগ বিস্তারের জন্য ঝুঁকি তৈরী করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ হতে রোহিঙ্গাদের মাঝে সাড়ে ১লক্ষ ৫০ হাজার কিটনাশক যুক্ত মশারী বিতরন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক অয়োজিত ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রন বিষয়ক এক এডভোকেসি সভায় কর্মকর্তরা এই মন্তব্য করেন।  বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা:অংশৈপ্রুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রন ও লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা:সানিয়া তাহমিনা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা:এম মুজিবুল হক, বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মফিদুল আলম,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের গণসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা পরিক্ষিত চৌধুরী,বাংলাদেশ হেলথ রির্পোটাস ইউনিয়নের সি:সহ সভাপতি জান্নাতুল বাকিয়া কেকা,৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের মেজর মো:সাঈদ সিদ্দিক রনি,বান্দরবান পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা:অংচালু মার্মা,বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ প্রমুখ।এছাড়া অনুষ্ঠানে বান্দরবান পার্বত্য জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তরা বলেন বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী মায়ানমার ম্যালেরিয়া রোগের জন্য অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন। সেখান থেকে নির্যাতনের কারনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লক্ষ্য রোহিঙ্গা নতুন করে ম্যালেরিয়া রোগের জন্য ঝুকি তৈরী করেছে। তবে রোগ নিয়ন্ত্রনে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য পরিক্ষার পাশাপাশি তাদের মাঝে মশারী বিতরণ করা হচ্ছে।
এসময় বক্তারা আরো বলেন,বছরের এই সময়টা ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুভাবের সময়,আর এসময়ে যেকোন জ্বর বা শরীরে কোন রোগ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া একান্ত দরকার।
অনুষ্ঠানে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা:অংশৈপ্রু সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন,পার্বত্য এলাকা বান্দরবানে এখন আগের চেয়ে কম ম্যালেরিয়া রোগ হয়। ২০১৭ সালে বান্দরবানে ম্যালেরিয়া রোগে ১ জনের মৃত্যু হয় আর ২০১৮ সালের আজ পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় কোন ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। এসময় সিভিল সার্জন ডা:অংশৈপ্রু আরো বলেন, ম্যালেরিয়া রোগ নিমূলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রন ও লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা:সানিয়া তাহমিনা বলেন,বান্দরবান,রাঙ্গামটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ম্যালেরিয়ার হার শতকরা ৯৩% এবং বান্দরবানেই শুধু  এই ম্যালেরিয়ার হার ৬০%।তিনি আরো বলেন,বর্তমান সরকার ম্যালেরিয়া রোগ নিমূলে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে বিনামুল্যে কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ করা হচ্ছে, আর এই ম্যালেরিয়া নিমূলে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions