পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম দুমদুম্যা সীমান্ত সড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে সেনাপ্রধান

প্রকাশঃ ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩ ০৬:৫১:২৮ | আপডেটঃ ০৪ মে, ২০২৪ ০৪:১০:৫৪
ষ্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।  সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম সাইচাল আর্মি ক্যাম্পে দুমদুম্যা এলাকায় সীমান্ত সড়কের প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন।

এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে লেঃ জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ারি হাসান, এসবিপি, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি, মেজর জেনারেল মোঃ নজরুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হাবিব উল্লাহ, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বিএসপি, এসইউপি, এনডিসি, এইচডিএমসি সহ রাঙামাটি ব্রিগেড কমান্ডার সহ অন্যান্য সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনের শেষে সেনাপ্রধান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকা গুলোতে কাজ করা খুবই কষ্টসাধ্য। এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের বিকাশেও এই বর্ডার রোড ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, দুর্গম এই এলাকা কাজ করতে গিয়ে কষ্ট হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই সড়কের কাজ সমাপ্ত করা হবে। তিনি বলেন, আমি পরিদর্শন করতে এসে তা হলো এই এলাকায় যারা কাজ করছে তাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য আমার পরিদর্শনে আসা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের অংশ হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সীমান্ত সড়ক নির্মাণ (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে প্রকল্পটির কাজ চলছে। সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার।

প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলে পার্বত্য জেলাগুলোর সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এ ছাড়া সীমান্তে দুই পাশের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হবে।

পাশাপাশি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। এটি সীমান্ত এলাকার কৃষিপণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতিতেও ভূমিকা রাখবে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions